বিদ্যুতখেকো অবৈধ পরিবহন ‘ইজিবাইক’!
![বিদ্যুতখেকো অবৈধ পরিবহন ‘ইজিবাইক’!](/Uploads/Images/News/2022/7/Image-1166-20220719132927.jpeg)
দেশের বিদ্যুতের সংকটের অন্যতম একটা কারণ নিষিদ্ধ ঘোষিত ইজিবাইক বা অটোরিকশা, যা সারাদেশে ব্যাপকহারে বাড়ছে প্রতিদিন। প্রতিটি ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে অনেক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার নানা সিদ্ধান্ত নেয়ায় এ বিষয়েও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনুসন্ধানে জানা যায় ঢাকার পার্শবর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলাতেই বর্তমানে কমপক্ষে ৫০ হাজারের বেশি অটোরিকশা চলছে,
যদিও জেলা প্রশাসনের কাছে বিদ্যুতখেকো এসব অবৈধ অটোরিকশার সঠিক কোন তথ্য নেই।
এসব ইজি বাইকের ৮০ শতাংশ গ্যারেজেই ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। অনেক স্থানে চলছে মিটার টেম্পারিং এর মতো ঘটনা।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন করে ইজিবাইক আমদানি বন্ধ ও পুরনোগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি গত কয়েক বছরেও। এমনকি মহাসড়কগুলোতে এই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে মহাসড়কে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
সাধারণত একটি ইজিবাইকের জন্য চারটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য প্রায় ১১০০ ওয়াট হিসেবে ছয় ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে এক নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫০ হাজার ইজি বাইকের চার্জের জন্যই জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫৫ মেগাওয়াট এবং মাসে ১৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হয়।
উল্লেখ্য, প্রায় ৮০ ভাগ গ্যারেজই বিদ্যুত চুরি করে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে চার্জ করে। আর রাতভর অবৈধভাবে ব্যাটারি চার্জের জন্য গ্যারেজ মালিকরা গাড়ি প্রতি মাত্র ১৫০ টাকা নিয়ে থাকেন। ফলে সরকার প্রায় ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।