যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন এরদোগান

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:১৩, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩, ২৩ চৈত্র ১৪৩০

২০ বছরের শাসনকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের রাজনৈতিক শক্তি কখনই নড়বড়ে অবস্থায় ছিল না। তিনি দৃঢ়তা নিয়েই সঙ্কট মোকাবিলা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। আর সেই চ্যালেঞ্জের উত্থান আগামী ১৪ মে প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে।

১৯৯৯ সালে যখন ইজমিটে একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প আঘাত হানে, সেই সময় ইস্তানবুলের মেয়র ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সেই ভূমিকম্পে ১৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিলেন এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

সেই সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতি সরকারের বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া এরদোগানের জন্য একজন যোগ্য ও সহানুভূতিশীল নেতা হিসেবে প্রমাণ রাখার সুযোগ তৈরি করেছিল, যেটি ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নির্বাচনের মঞ্চ তৈরি করেছিল।

পরবর্তীতে এরদোগান তার শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক মন্দা, শরণার্থী সংকট, দুর্নীতি কেলেঙ্কারি, তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও আন্দোলন ছাড়াও একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকেও শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। গত দুই দশক ধরে এরদোগান তুরস্কে নিজেকে অনেকটা একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।

কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ১৪ মে প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো এরদোগানের ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য এই মতের শক্ত বিরোধিতাও রয়েছে।

এরদোগানের পুনর্নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে তার বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া, যা ১০ প্রদেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং ৪৫ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।  
এই ভূমিকম্পকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে এরদোগান সরকারের অক্ষমতার কথা প্রচারিত হয়েছে। যেখানে উদ্ধার কার্যক্রমে বিলম্ব, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা প্রদানে অনিয়ম এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা বিতরণে অনিয়মের দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক তুর্কি নাগরিকের মধ্যেও এরদোগানের ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।  

এরদোগানের জন্য দ্বিতীয় এবং সম্ভবত আরও উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে— দেশটির প্রধান বিরোধী দল পিপলস রিপাবলিকান পার্টির (সিএইচপি) নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু। তিনি তুরস্কের অনেক ভগ্নবিরোধী দলগুলোকে একত্রিত করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আরও অন্যান্য দলের গোছানোর কাজ করছেন, যাতে আগামী নির্বাচনে তিনি বড় ধরনের চমক দেখাতে পারেন।

তবে কামাল কিলিকদারোগ্লু যতই চমক দেখান না কেন, এরদোগান ইউরো-এশিয়ার একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ। তাই তিনি যে কোনো পরিস্থিতি মুহূর্তেই মোকাবিলার ক্ষমতা রাখেন। বিগত দিনে তিনি সেই প্রমাণ দিয়েছেন বহুবার। তিনি দৃঢ়তা নিয়েই সব ধরনের সঙ্কট মোকাবিলা করেছেন।

সূত্র: টাইম অবলম্বনে।

Share This Article


ইমরান খানের দলকে নিষিদ্ধ করছে পাকিস্তান সরকার

দেশে দেশে কোটা ব্যবস্থা

আমি মারাও যেতে পারতাম: ট্রাম্প

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই, নিহত আরও ১৪১ ফিলিস্তিনি

প্রাণে বেঁচে ঈশ্বরের কাছে ট্রাম্পের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর ৩০২ বন্দুক হামলার ঘটনা

গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র দায়ী: মাহমুদ আব্বাস

ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে: এফবিআই

পশ্চিমের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ইংরেজির বিস্তার উত্তর কোরিয়ায়

হামলার ঘটনায় বাইডেনকেই দায়ী করছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা

আমেরিকায় এমন সহিংসতার স্থান নেই, এটা ক্ষমা করা যায় না: বাইডেন

ডান কানে গুলিবিদ্ধ ট্রাম্প