দেড় যুগ ধরে আন্দোলনের নামে স্বপ্ন দেখছে বিএনপি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০০, বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৩, ২২ চৈত্র ১৪৩০
  • নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য।
  • সর্বাত্মক গণআন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আস্থার সঙ্কট।
  • ‘ঈদের পর কঠোর আন্দোলন’  ট্যাগ লাইন কৌশল।
  • জনভোগান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে ভীতির সঞ্চার।

দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। গেল বছরের আগস্ট থেকে সরকারপতনসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে দলটি। আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই আছে। এতে সর্বাত্মক গণআন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আস্থার সঙ্কটে ভুগছে নেতাকর্মীরা। ফলে দলটি এখনো ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত হতে পারেনি।

বিগত সময়ে দলের সিনিয়র নেতাদের ‘ঈদের পর কঠোর আন্দোলন সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে রাজনীতিতে চলছে সমালোচনা। গত ১২ বছরের বেশি সময় ধরে এই ট্যাগ লাইন আঁকড়ে নেতাকর্মীদের চাঙা রাখার প্রচেষ্টা বা কৌশল অবলম্বন করছে বিএনপি।

২০১৪ সালের ২২ জুন এক জনসভায় ঈদের পরে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলীয় প্রধানের ওই বক্তব্যের রেশ ধরে ঈদ সামনে রেখে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এখনো এ ধরনের বক্তব্য দেন। ঈদ যায় ঈদ আসে কিন্তু সেই অর্থে কোনো কঠোর আন্দোলন সংগঠিত করতে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। ফলে নেতাকর্মীদের নিয়মিত বিরোধী শিবির থেকে  কটাক্ষ শুনতে হয়।

এছাড়াও আন্দোলন কর্মসূচির আড়ালে দলটি বরাবরই নাশকতা, সহিংসতা, জনভোগান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করেছে।এতে করে আন্দোলন কর্মসূচিতে তেমন জনসাধারণের সাড়া পায় না দলটি।

বিএনপির সিনিয়ন নেতাদের এমন বক্তব্য রাজনীতিতে হাস্যরসের খোরাক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বিএনপি কোনোদিনও আন্দোলনের দিন-তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে না। কারণ, বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত নয়। দলে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। আর জনগণ বিএনপিকে ভরসা করে অতীতে যে ভুল করেছে, সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে না । তাই তাদের আন্দোলন আর গড়ে ওঠে না। ঈদ যায় ঈদ আসে, বিএনপির আন্দোলন জমে না।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article