বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করছে বাংলাদেশ

বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রতিবেশি দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্য ও জ্বালানির সিংহ ভাগই যোগান দিয়ে থাকে এই দুই দেশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে হঠাৎ করেই যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের কারণে খাদ্য শৃঙ্খল ও জ্বালানি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়।
দুই দেশের যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি দুইটির দামই বেড়ে যায়। পাশাপাশি দুইটিরই কমে যায় সরবরাহ। জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়, তাতে জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে গোটা বিশ্ব।
আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানির বড় বড় শহরে বিকেল ৫ টা হতে সন্ধ্যা থেকে ৭ টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে বিকাল ৩ হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে। উন্নত দেশ অস্ট্রেলিয়ায়ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত লোডশেডিং দিচ্ছে দেশটির সরকার।
জ্বালানি সমস্যায় জর্জরিত উন্নত দেশগুলোও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত দেশগুলো এই সমস্যা সমাধান ও সমন্বয়ের অংশ হিসেবে লোডশেডিং করছে। জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং বাংলাদেশের একক কোনো সমস্যা নয়। বিরূপ পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সাময়িকভাবে এক ঘন্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।