যে কারণে জামায়াতকে ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায়নি বিএনপি
![যে কারণে জামায়াতকে ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রণ জানায়নি বিএনপি](/Uploads/Images/News/2023/4/Image-11585-20230405081359.webp)
রাজনীতিবিদদের সম্মানে গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। তবে সেখানে জামায়াত ইসলামী ছাড়া সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ইফতার আয়োজনে বিএনপির সাবেক জোটের নেতাদের দেখা গেলেও জামায়াত নেতাদের অনুপস্থিতি নানান প্রশ্নের জন্ম দেয়। এর পেছনে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলগত অবস্থান রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ইফতার মাহফিলে বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির ইফতার মাহফিলে কৌশলগত কারণে আমাদের দলীয় কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি।
ইফতার আয়োজনে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, গণফোরামের একাংশের নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টু ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর জেবেল রহমান গনি, গণ-অধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ড. ফরিদুর রহমান ফরহাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ড. নুরুল আমিন বেপারি, এনডিপির খন্দকার গোলাম মর্তুজা, পিপলস পার্টির বাবুল সরদার চাখারি, মুসলিম লীগের কাজী আবুল খায়েরের মতো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক কৌশলের কারণেই জামায়াতের সঙ্গে এখন দূরত্ব বজায় রাখছে বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের প্রচারণায় ‘বিএনপি-জামায়াত’ সম্পর্ক নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। তাই জামায়াতকে দূরে রেখে সমমনাদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছে বিএনপি।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্ক ‘আশেক আর মাশুক’ উল্লেখ করে সমালোচকরা বলছেন, তারা একজন ছাড়া অন্যজন অচল।জামায়াতকে ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রণ না জানালেও নির্বাচনের আগে তারা জোট করবে, জাতীয় নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি করবে। তখনই বোঝা যাবে তাদের দূরত্ব-দূরত্ব খেলা ছিল রাজনৈতিক একটি কৌশল।