জামায়াত-বিএনপি সম্পর্কে নতুন যে তথ্য দিলেন শওকত মাহমুদ
![জামায়াত-বিএনপি সম্পর্কে নতুন যে তথ্য দিলেন শওকত মাহমুদ](/Uploads/Images/News/2023/4/Image-11551-20230404091136.webp)
যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছে বিএনপি। এটা কি বিএনপির কোনো কৌশল?এর ফলে কি দলে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, জামায়াতের মতো এতো বড় শক্তিকে এভয়েড করা ভালো কৌশল নয়। এর প্রভাব বিএনপিতে অবশ্যই পড়বে।
সম্প্রতি অনলাইন প্লাটফর্ম ইউটিউবে ‘চেঞ্জ টিভি ডট প্রেস’ নামের একটি চ্যানেলে শওকত মাহমুদ বলেন, জামায়াতকে বাইরে রাখার জন্য ভারতসহ বিভিন্ন দেশের চাপ রয়েছে। হতে পারে এ জন্যই কৌশল অবলম্বন করেছে বিএনপি। তবে জামায়াত একটা বড় রাজনৈতিক শক্তি। তাদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলনেও গিয়েছিল বিএনপি। এখন কৌশল হিসেবে যদি বিএনপি দূরত্ব বাড়ায় তাহলে এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। কারণ সামনে নির্বাচন, সেখানে জামায়াতকে অতি প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
শওকত মাহমুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে জামায়াত আলাদা নির্বাচন করেছে বলে বিএনপি ১১৬টি আসন পেয়েছিলো। এতে সরকার করতে গঠন করতে পারেনি। তবে ২০০১ সালে একত্রে নির্বাচন করেই সরকার গঠন করতে পেরেছিল বিএনপি। কাজেই এটা বিএনপিকে মনে রাখতে হবে।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মহল একটা সময় উগ্র-মৌলবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে ঘোর আপত্তি ছিল। তবে আমেরিকার মতো দেশ এখন যদি উগ্রবাদী তালেবানদের সাথে নিয়ে কাজ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশে জামায়াত নয় কেন? কাজেই বিএনপির এগুলো ভেবে দেখা উচিৎ।
বিএনপি প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ বলেন, বিএনপির প্রধান সমস্যা হলো ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, যেটা প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকায় বিদ্যমান। এই দ্বন্দে অনেকে ২০ দল থেকে বেরিয়েও গেছে। কারণ সবার সাথে তাদের ঐক্য দৃঢ় ছিল না। প্রকারান্তরে ২০ দল ভেঙে দেয় বিএনপি।
এখন বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলন করছে ছোট ছোট সমমনাসহ শরিক দলগুলো। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনের বাইরে সেই দলগুলো তেমন জনশক্তি নেই, যা জামায়াতের আছে। ভেতরে ভেতরে জামায়াত অনেক সম্প্রসারিত দলে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে দলটির। অর্থনৈতিক দিক দিয়েও অন্যান্য দল থেকে সাবলম্বী তারা। তাই সর্বদিক বিবেচনায় জামায়াত ছাড়া বিএনপির গতি নেই বলেও জানান শওকত মাহমুদ।