সেই প্রতিবেদন স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃত আঘাত : কৃষিমন্ত্রী
![সেই প্রতিবেদন স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃত আঘাত : কৃষিমন্ত্রী](/Uploads/Images/News/2023/4/Image-11539-20230403105419.webp)
স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার (২ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছরে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দেশ থেকে মঙ্গা দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একই সঙ্গে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূলসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে ‘অপপ্রচারমূলক’ সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় ‘জয় বাংলা’ উল্লেখ করেছেন; মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর দেশে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখে আনে না। তারা দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা স্লোগান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ এবং বাঙালি জাতির সাহস, সক্ষমতার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলো জয় বাংলা স্লোগান।
কৃষিঋণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি খাতে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানা কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময়ই এসব শর্ত কৃষকরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকরা পূরণ করতে পারেন না। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন।