বিরোধ মিটছেই না জাপার দেবর-ভাবির!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:২১, রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩, ১৯ চৈত্র ১৪৩০

একদিকে এরশাদের জন্মদিন পালন ও ইফতার করেন রওশন এরশাদ। সেখানে দাওয়াত পাননি জি এম কাদের ও তার অনুসারীরা। অন্যদিকে রওশনপন্থী জাপার ৮ সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১০ জন সাবেক মন্ত্রী-এমপিকে দলে নিচ্ছেন না জি এম কাদের।

জাতীয় পার্টির দেবর-ভাবির একেরপর এক দ্বন্দ্ব যেন থামছেই না। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের দলের সিদ্ধান্তে একমত পোষণ না করার ফলে এই সংকটের সমাধান হচ্ছে না বলে জানিয়েছে দলটির বিশ্বস্ত সূত্র।

সূত্রটি বলছে, রওশন চান জাপা থেকে বহিষ্কার হওয়া মসিউর রহমান রাঙ্গা, জিয়াউক হক মৃধার মতো কয়েকজন নেতাকে দলে ফেরাতে। কিন্তু ভাবির চাওয়ার সঙ্গে একমত হতে পারছেন না দেবর জি এম কাদের। এ নিয়েই ফের বিরোধে জড়িয়েছেন দেবর-ভাবি।

জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন অনিশ্চিত বলে জি এম কাদেরের সঙ্গে ঐক্যে নারাজ রওশনপন্থী কয়েকজন নেতাও।রওশন বলয়ের সবাইকে দলে ‘পুনর্বাসনে’ রাজি নন জি এম কাদেরপন্থীরাও। এসব কারণে জাপায় দেবর-ভাবির বিরোধ মিটছেই না। টানা বিরোধে গত বছর ভাঙনের মুখে পড়ে জাপা।

এর মধ্যেই গত ৯ জানুয়ারি রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের যুক্ত বিবৃতিতে ঐক্যের ডাক দেন। এমনকি জাপার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জি এম কাদেরের সঙ্গে এক মঞ্চেই ছিলেন রওশন এরশাদ এবং তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগির আল মাহি (সাদ এরশাদ)। তাদের এক মঞ্চে দেখে রাজনীতির মাঠে ‘বিরোধ মিটেছে’ গুঞ্জন শুরু হয়।

তবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাপার এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে যৌথ সভা করেন জি এম কাদের। এতে যোগ দেন জাপার যুগ্ম মহাসচিব সাদ এরশাদও। সেই সভায় ফের বিরোধের সূত্রপাত হয় রওশন পন্থীদের পুনরায় দলে ভেড়ানো নিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ মার্চ জাপার প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন পালন ও গত ২৭ মার্চ নিজ অনুসারীদের নিয়ে আলাদা ইফতার পার্টি করেন রওশন এরশাদ। তবে কোনো অনুষ্ঠানেই দাওয়াত পাননি জি এম কাদের ও তার অনুসারীরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের বিরোধে মূলত পার্টিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দলটির দুই নেতা ব্যক্তিগত লাভ-লোকসানের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ক্ষতি হচ্ছে অন্য ত্যাগী নেতা-কর্মীদের। দেবর-ভাবির কারণে দিনদিন জাপা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন যোগ্য নেতাকর্মীরা। এ সমস্যার সমাধান না করলে আগামীতে নির্বাচন কিংবা দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার মতো নেতাকর্মী থাকবে না জাতীয় পার্টিতে। এ কারণে সমাধানের পথ খুঁজতে রওশন এরশাদ এবং জি এম কাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।

Share This Article


কোটা আন্দোলনের পেছনে মতলবি মহল: ওবায়দুল কাদের

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

কোটাব্যবস্থা নিয়ে প্রচারপত্র দিলেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা

যারা ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়বো: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনকারীদের রাজাকার স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে: কাদের

রাজাকার পরিচয় বহনকারীদের বাংলা ছাড়ার দাবি সারাদেশে

দেশে দেশে কোটা ব্যবস্থা

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটের ছাত্রদের মেধার এতো অধঃপতন!

শিক্ষার্থী আন্দোলন ফায়দা লোটার আত্মঘাতী কৌশল

যুক্তরাজ্যে থাকতে হলে রাজনীতি ছাড়তে হবে তারেককে!