১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের কেন্দ্রে ছিলেন তারেক: গগনজিৎ সিং

২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল চট্টগ্রামে সরকারি সার কারখানা সিইউএফএলের জেটি ঘাটে খালাসের সময় ধরা পড়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। প্রায় ১৯ বছর পর এ ঘটনার নতুন তথ্য উন্মোচন করলেন ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি সামনে আনেন।
ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা গগনজিৎ সিং বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের কেন্দ্রেবিন্দুতে ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান ও তার সহযোগীরা।
এছাড়া চালানের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) ও পাকিস্তান সরাসরি জড়িত ছিল বলেও জানান সাবেক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, এই অস্ত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত উগ্রবাদী গোষ্ঠিদের হাতে তুলে দিতে আনা হয়েছিল। এছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকেও এই অস্ত্র প্রদান করা হতো। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের পুরো অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠতো এবং এটাই তারা চেয়েছিল। বাংলাদেশে বর্তমানে যেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে, এটি হয়তো থাকতো না।
এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ মোট ১৪ জনের ফাঁসির রায় দেন চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান। মামলায় তারেক রহমানের নাম না থাকলেও সম্প্রতি তার জড়িত থাকার কথা জানালেন গগনজিৎ সিং।
দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য বরাবরই দায়ী ছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’নীতির কারণে এখন দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বিরাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।