আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের পিটিয়ে বিএনপি বিএনপির গণতন্ত্র চর্চা!
যারা আমন্ত্রণ জানিয়ে অতিথির গায়ে হাত তুলতে পারে তারা ক্ষমতায় গেলে কী ভয়ানক অমার্জিত হয়ে উঠতে পারে এটিই তার দৃষ্টান্ত। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ অপপ্রচার চালানোর জন্য প্রথম আলোর বিরুদ্ধে যখন পুরো দেশে নিন্দার ঝড় বইছে, তখন প্রথম আলোর পক্ষে সাফাই গেয়েছে বিএনপি
দাওয়াত দিয়ে নিজেদের ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ৩১ মার্চ রাজধানীর মিরপুরে পল্লবী কমিউনিটি সেন্টারে অতিথি সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় তারা।
হামলায় বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির বিশেষ প্রতিনিধি ইমরুল আহসান জনি, চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদক আকতার হাবিবসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এছাড়া হামলায় কয়েকজন ক্যামেরাপার্সনও আহত হন। দুটি টেলিভিশনের ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পবিত্র রমজান মাসে ইফতার মাহফিলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাদের এমন তুঘলকি কাণ্ড রাজনৈতিক ও মিডিয়া অঙ্গণে ব্যাপক তোলপাড় ফেলেছে। তীব্র সমালোচনা হচ্ছে দেশজুড়ে।
জানা গেছে, ইফতার অনুষ্ঠানে ব্যাপক নেতা-কর্মীর সমাগমের মধ্যেও সাংবাদিকদের দাঁড়ানোর আলাদা জায়গা ছিল। সাংবাদিকরা এক পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে দাঁড়ানোর জায়গা নিয়ে বিনা উস্কানিতে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান এবং পরক্ষণেই মারমুখী হয়ে হামলা চালান।
সমালোচকরা বলছেন, যারা আমন্ত্রণ জানিয়ে অতিথির গায়ে হাত তুলতে পারে তারা ক্ষমতায় গেলে কী ভয়ানক অমার্জিত হয়ে উঠতে পারে এটিই তার দৃষ্টান্ত। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ অপপ্রচার চালানোর জন্য প্রথম আলোর বিরুদ্ধে যখন পুরো দেশে নিন্দার ঝড় বইছে, তখন প্রথম আলোর পক্ষে সাফাই গেয়েছে বিএনপি নেতারা। এটি বিএনপির দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়।
একদিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে কোনো সাংবাদিক গ্রেপ্তার হলে বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, আর বিএনপি নেতারা যখন সাংবাদিক পেটায় তখন সেটা গণতান্ত্রিক অধিকার? প্রশ্ন সমালোচকদের।