১০ ট্রাক অস্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তারেক রহমান: গগনজিৎ সিং

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৩০, শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪৩০
মেজর জেনারেল (অব.) গগনজিৎ সিং
মেজর জেনারেল (অব.) গগনজিৎ সিং

ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) গগনজিৎ সিং বলেছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান ও তার সহযোগীরা। এ অস্ত্র চালানের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) ও পাকিস্তান সরাসরি জড়িত ছিল।

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের মতো এত বড় চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসা সম্ভব ছিল না।

শনিবার (১ এপ্রিল) চাঞ্চল্যকর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনার ১৯ বছর হলো। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আটক করা হয়। ওই ঘটনার পর তৎকালীন সরকার এ অস্ত্র চালানের দায় জঙ্গিগোষ্ঠীদের ওপর চাপালেও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে এর সঙ্গে তৎকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি।

এর আগেও এ প্রসঙ্গে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে ভারতের সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) গগনজিৎ সিং বলেছিলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র উলফার কাছেই যাচ্ছিল। এ সময় উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে তারেক রহমানের যোগসাজশের বিষয়েও জানান তিনি। তিনি বলেন, তারেক রহমান ও তার ঘনিষ্ঠরাই ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেছিলেন।

সাক্ষাৎকারে গগনজিৎ সিং জানান, তখন বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে উগ্রবাদী ও জঙ্গীদের জন্য নিরাপদ এক আশ্রয়স্থল হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পরেশ বড়ুয়া এমন এক স্থানে বসবাস করতেন, যেখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বাহিনী ছিল। দোতলা বাসায় তিনি থাকতেন এবং সেখান থেকে বাধাহীনভাবে সর্বত্র চলাফেরা করতে পারতেন। তিনি তার ছেলেদের নিয়ে ওখানকার পার্কে ফুটবল খেলতে যেতেন। এ ছাড়া অন্যান্য উগ্রবাদী নেতা ও তাদের পরিবারও সেখানে থাকত। তারা সেখানে শান্তিতে থাকতে পেরেছে, কেননা ওই দেশের (বাংলাদেশ) সরকারের সমর্থন তারা পেয়েছিল।

পাকিস্তান ১৯৭১ সালে পরাজয়ের কথা ভুলতে পারেনি মন্তব্য করে গগনজিৎ সিং বলেন, পাকিস্তান সর্বদা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশকে দুর্বল করতে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। আর পাকিস্তানও তাদের সমর্থন করে। এরপর যখন আওয়ামী লীগ এলো (সরকার গঠন করল), তারা বাংলাদেশের মুক্তির বিষয়টি জানে। কিন্তু পাকিস্তান সর্বদা প্রতিশোধ নিতে চেয়েছে। আর বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে তাদের (পাকিস্তানের) বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, যেভাবে পাকিস্তান বিএনপিকে সহায়তা করেছে, তাতে আপনারা (সাংবাদিক) ব্যক্তিগতভাবে বিশ্লেষণ করলেই বুঝতে পারবেন, নিশ্চিতভাবেই তারা এটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এত বড় অস্ত্রের চালান যখন আসে, জাহাজ বোঝাই করে, এটা কোনো একটি সংগঠনের পক্ষে আনা সম্ভব নয়। এটি কোনো নিম্নসারির নেতার পক্ষে আনা সম্ভব নয়। এখানে উচ্চপর্যায়ের নেতারা সম্পৃক্ত না হলে কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। আর এর লক্ষ্য ছিল খুবই সাধারণ, বাংলাদেশের ক্ষমতা যেন বিএনপি-জামায়াতের হাতে থাকে এবং পাকিস্তান এটা চেয়েছিল।

উগ্রবাদীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্যই এত বড় অস্ত্রের চালান এসেছিল জানিয়ে ভারতের সাবেক এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এই অস্ত্র জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পৃক্ত উগ্রবাদী এবং অন্যদের জন্য ছিল। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকেও এই অস্ত্র প্রদান করা হতো। এতে করে বাংলাদেশ ও ভারতের এ পুরো অঞ্চল উত্তপ্ত হয়ে উঠত এবং এটাই তারা চেয়েছিল।

Share This Article


শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে

পুলিশকে মেরে যারা ঝুলিয়ে রেখেছিল সবার পরিচয় পেয়েছি: হারুন

‘ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি’

সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ২০১ মামলায় গ্রেপ্তার ২২০৯

মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী

ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পোশাক কারখানা খুলছে আজ

দূরপাল্লার বাস চলবে, ট্রেন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই

আজ খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস

যেসব বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক: আরেফিন সিদ্দিক

৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি বিটিভির আগুন