প্রধানমন্ত্রীর জায়নামাজে বসে আলোচনার ছবি ভাসছে প্রশংসায়
![প্রধানমন্ত্রীর জায়নামাজে বসে আলোচনার ছবি ভাসছে প্রশংসায়](/Uploads/Images/News/2023/4/Image-11433-20230401045358.webp)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত ব্যস্ততার মধ্যেও ধর্মীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলেন। তাহাজ্জুদ নামাজ থেকে শুরু করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন তিনি। এরই ধাবাহিকতায় পবিত্র মাহে রমজানে প্রধানমন্ত্রীর নামাজ শেষে জায়নামাজে বসে আলোচনার একটি ছবি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার আয়েশা সোনিয়া নামের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী তার ফেসবুক পোস্টে ছবিটি শেয়ার করেছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সবার সাথে নামাজ আদায়ের পর জায়নামাজে বসে আমাদের আপা’; অদ্বিতীয়া তিনি; অনন্যা তিনি; ভালোবাসা’।
ছবিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী জায়নামাজে কয়েকজনের সঙ্গে বসে আলাপ করছেন। ছবিটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে প্রশংসায় মেতেছেন নেটিজেনরা।
ছবির নিচে কমেন্টে নুরুল করিম নামের একজন লিখেছেন, ‘আমাদের ভালোবাসার প্রধানমন্ত্রী, তিনি দীর্ঘজীবী হন।’ মাহাবুর রহমান মিলন নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘অনেক শ্রদ্ধা, আপনি দীর্ঘজীবী হন।’
এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মাছ ধরার কয়েকটি ছবি নেটিজেনদের সঙ্গে শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই ছবিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর বরশিতে ধরা পড়ে মস্ত বড় একটি চিতল মাছ।
সেই ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মন জয় করে।
অবশ্য এর আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটো ছবি। তার মধ্যে একটিতে মাছ শিকারের পর বড়শি হাতে প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেছে, অন্যটিতে তিনি সেলাই করছেন।
২০২০ সালের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তার ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে ছবি দুটি পোস্ট করেছিলেন।
এর আগে সংসদে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, সময় পেলে তিনি সকালে গণভবনের লেকে মাছ ধরতে যান। ওই সময় নামাজ পড়ে, চা খেয়ে বই পড়ার কথা জানান তিনি। সেইসঙ্গে হাঁটার অভ্যাসের কথাও বলেন সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রীর ছুটির দিনের আনন্দময় মুহূর্তের তিনটি ছবি সংবলিত একটি পোস্টে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় ও দলীয় কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও মাসের যেকোনো ছুটির দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য অনেক আনন্দের।’
এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় ও দলীয় কাজের শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু সুযোগ পেলেই গণভবনে কৃষি কাজসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।