দাম কমেছে ডিমের, সবজিতেও স্বস্তি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৫৩, শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩, ১৭ চৈত্র ১৪২৯

রমজানের শুরু থেকেই ব্রয়লার মুরগির দাম কমতে শুরু করে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম আরো কমেছে। এছাড়া কমতির দিকে রয়েছে ডিমের দাম ও সবজির দামও। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার ও সায়েদাবাদ বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে মিলেছে এসব তথ্য।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আগে কেজি ছিল ৩০০ টাকা।  

উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা খসরু মিয়া বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। ঈদের আগে আর দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই।

এদিকে মিরপুর শেওড়া পাড়া বাজারে গরুর মাংস ৭২৫-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকায়।

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।  

অন্যদিকে শসা প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শিমের কেজি ৬০ টাকা, করলার কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা দরে। গাজরের কেজি ৬০ টাকা, মুলার কেজি ৬০ টাকা ও কাঁকরোলের কেজি ২০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে।  

সায়েদাবাদ বাজারের সবজি বিক্রেতা রমজান মিয়া বলেন, রমজানের মানুষ সবজি কম খায়। এক বেলা খায়, ভালো খায়। চাহিদা কম থাকায় সবজির দাম কমেছে।  

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। বড় রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।  

এছাড়া দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা দরে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে।  

কারওয়ান বাজারের একজন ক্রেতা জানান, বিক্রেতাদের দামের কারসাজির জন্য সরকারের তদারকি বা মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই। সরকার এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে অভিযান আরো জোরদার করতে হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


ঢাকায় চীনের ভিসা সেন্টার

রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান

যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাস করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

যে কারণে জাহাজে করে দেশে ফিরতে চান না ২ নাবিক

ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন খালেদা জিয়া: শেখ হাসিনা

কেউ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে

গরম নিয়ে যে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস