যে কোন পদক্ষেপ নিতে নির্ভীক শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন চতুর্থ মেয়াদে : ব্লুমবার্গ
জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে, তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন। বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সাফল্যের কারণেই এ বিজয় আসবে শেখ হাসিনার।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সরকারই নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল'র (আইএমএফ) প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয় না। কারণ এসব সংস্কারের কারণে অর্থনীতি পিছিয়ে পড়লেও ভর্তুকি কমানো ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ নানান পদক্ষেপ নিলে তার প্রভাব পড়ে ব্যালট বাক্সে।
তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ। গত ২৭ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে পত্রিকাটি বলছে, বিশ্বজোড়া সঙ্কটের মধ্যেও সময়োচিত সংস্কার-পদক্ষেপ নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিবন্ধে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী সাধারণ নির্বাচনে শেখ হাসিনার দল চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবে।
'বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলস' শিরোনামের এই নিবন্ধে বলা হয়, ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়শই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মত নন। তার নেতৃত্বে দ্রুত আইএমএফ ম্যান্ডেটের বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অথচ পাকিস্তান এখনো জ্বালানি ভর্তুকি নিয়ে দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচন বিলম্বিত করেছে। কারণ তারা গত সপ্তাহে আইএমএফ তহবিল পেতে কর এবং সুদের হার বাড়িয়েছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, গত জুলাই মাসে আইএমএফের সহায়তা চাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে সর্বশেষ ছিল বাংলাদেশ। দেশটি দ্রুত জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির পর প্রথম ঋণ অনুমোদন পেয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিতে কোন কুন্ঠা বোধ করেননি।
নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে, তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন। বরং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার সাফল্যের কারণেই এ বিজয় আসবে শেখ হাসিনার।