ভারতের পাতানো ফাঁদে বিএনপি!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩০, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি দলের নেতা-কর্মী- চাকর-বাকরদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, কিভাবে একটি দল চালাবেন? আর রাষ্ট্র পরিচালনা তো অনেক দূরের ব্যাপার। নেতৃত্বের কোন গুণ না থাকায় আমি বিএনপি থেকে বেরিয়ে গেছি।

ভারতের পাতানো ফাঁদে বিএনপি পা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিম কোটের আইনজীবী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও বিএনপির সাবেক নেতা ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন। সম্প্রতি  ‘‘টেবিল টক, ইউকে' নামের একটি ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

বাংলাদেশ নামে একটা রাষ্ট্র যতদিন থাকবে, ততদিন ভারত আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ যা কিছু করুক না কেন আওয়ামী লীগকে সরিয়ে অন্য কোন দলকে ভারতের ক্ষমতাসীন দল ও ভারতের পররাষ্ট্র নীতি সমর্থন করবে না বলে টক শোতে জানান বিএনপির সাবেক এই নেতা।

টক শোতে তিনি বলেন, যে পরিবার বর্তমানে বাংলাদেশ শাসন করছে, তাদের সাথে ভারতের গান্ধী পরিবারের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র নীতি কখনও পরিবর্তন হয়নি আর ভবিষ্যতেও কোনদিন হবে না।

ওয়ান ইলেভেন ঘটার পরে যখন তারেক রহমান লন্ডন গেলেন, তখন ঢাকায় নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তির চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়া সত্বেও ভারত সরকার তাকে চুক্তিভিত্তিক লন্ডনে নিয়োগ দেয়। সেখানে পুরাতন বন্ধুত্বের সুযোগকে কাজে লাগায় ভারত। লন্ডনে তারেক রহমানকে বুঝানো হয় আওয়ামী লীগের পতন হবে আপনারা ক্ষমতায় আসবেন। তারেক রহমানও বিশ্বাস করতে থাকেন তাকে ভারত ক্ষমতায় আনবে। ভারত এমনভাবে বিএনপির শীর্ষ নেতাকে নিজেদের মতো করে সাজিয়েছে। এমনকি সর্বশেষ দলের স্থায়ী কমিটির যে তিনজন সদস্যকে যুক্ত করা হয়েছে তারাও সবাই ভারতপন্থি বলে জানান তিনি।

এমনকি সম্প্রতি যে পাঁচজন বিএনপি নেতা ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মার আমন্ত্রণে ২৬ আইটেমের ডিনার খেতে ভারতীয় দূতাবাস গিয়েছিলেন তারাও ভারতপন্থি এবং তারা নিজ দলের স্বার্থ হাসিল না করে ভারতের স্বার্থ হাসিল করতে ব্যস্ত বলেও জানান সরোয়ার।  

এ সময় তিনি বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, আমি ১২ বছর বিএনপির সদস্য ছিলাম। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে দলীয় কোনো ফোরামে কোনদিন ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের সুযোগ পাইনি। স্থায়ী কমিটির যে বৈঠক হয় সেখানে কোন ধরনের আলোচনা, বিতর্ক বা কোন ধরনের পর্যালোচনা হয় না। সেখানে ওপর থেকে পাতানো আলোচনা হয়, সবাই শুধু জি হুজুর- যাহাপনা বলতে ব্যতিব্যস্ত। সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা আসে সব উপর থেকেই।      

বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ করে মেজর সরোয়ার বলেন, আমি ডাটা দিয়ে বলতে পারি, আগে বড় বড় কমিটি বিক্রি হতো এখন ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিও বিক্রি হচ্ছে। দলের দুর্নীতির কোন অভিযোগ তদন্ত করা হয় না। তদন্ত না হওয়ার কারণ হচ্ছে অর্থের ভাগ তারেক রহমানের কাছে লন্ডন পর্যন্ত পৌঁছায়।

পরিশেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, চাকর-বাকরদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না, আপনি কিভাবে একটি দল চালাবেন? আর রাষ্ট্র পরিচালনা তো অনেক দূরের ব্যাপার। নেতৃত্বের কোন গুণ না থাকায় আমি বিএনপি থেকে বেরিয়ে গেছি।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


চট্রগ্রাম মেডিকেলের অজ্ঞাত লাশকে শিক্ষার্থীদের লাশ বলে চালানোর চেষ্টা!

শিক্ষার্থীদের পাশে দেশবাসীকে দাঁড়ানোর আহবান ফখরুলের: পাশে দাঁড়িয়েছে কি বিএনপি?

ঢাকা কলেজের ছাত্রের প্রাণহানি, সারা দেশে নিন্দার ঝড়

শিবির-ছাত্রদলের নির্মমতা: চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ১৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে

আমরা সরকার পতন করেই ঘরে ফিরবো: গাজীপুর থেকে আগত শিবির কর্মী

কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ, শিক্ষকদের মারধর

প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্যের মর্মার্থ বিকৃত করলো কারা

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

ঢাবি ক্যাম্পাসে যেভাবে জড়ায় ছাত্রলীগ

'রাজাকার' পরিচয় দিতে একবারও লজ্জা হলো না তাদের