প্রবাসে ভিপি নুরের জমজমাট ‘পদ বাণিজ্য’ ও ফান্ড কালেকশন!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১৯, বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
  • বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না  ভিপি নুরুল হক নুরের
  • কাতারে আইন ভঙ্গ করে  রাজনৈতিক সভা, পুলিশের অভিযান 
  • দেশের সব লোককে অশিক্ষিত-গন্ড মূর্খ বলে আখ্যা দেন নুর
  • তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হলেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে

 

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদ সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের। সম্প্রতি তিনি কাতার ভ্রমণে গিয়ে দেশটির আইন ভঙ্গ করে নারীদের নিয়ে রাজনৈতিক সভা করে নতুন করে আলোচনায় আসেন। কাতারের আইনের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক সভা করায় কাতার পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান ভিপি নুর।

সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো কাতারে গিয়ে একটি মিলনায়তন ভাড়া নিয়ে মিটিং করেন,যেখানে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শোনা যায় তাকে। এক পর্যায়ে দেশের সব লোককে অশিক্ষিত-গন্ড মূর্খ বলে আখ্যা দেন। চার তারকা হোটেলে ইফতার মাহফিলের নামে রাজনৈতিক সভা করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হলে তিনি দ্রুত সভা ত্যাগ করেন এবং কালক্ষেপণ না করে কাতার থেকে ওমান পালিয়ে যান।

সূত্রমতে বহুল বিতর্কিত ভিপি নুর সম্প্রতি ঈদ ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অর্থ সংগ্রহের জন্য কাতার, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণ করেন। সেসব দেশে গণঅধিকার পরিষদের শাখা হিসেবে ‘প্রবাসী অধিকার পরিষদ’শাখা কমিটি গঠন করেছেন। ফান্ড কালেকশনের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থসহ দামি উপঢৌকন নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে গাড়ি নিয়ে কাতার প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতির পদ দিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে কাতারে উক্ত মিটিং শেষে আপাদমস্তক বোরখা পরিহিত কয়েকজন নারীর সাথে নুরকে একান্তে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় বলে দাবি করেছেন কাতারের ৭১ টিভির প্রতিনিধি গোলাম মওলা হাজারি, যিনি সেই মিটিংয়ের এক পর্যায়ে নুরকে কিছু প্রশ্ন করলে তিনি তার উত্তর না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং অকথ্য ভাষায় সাংবাদিককে গালমন্দ করেন।

হাজারি দাবি করেন কাতারের রাজনীতির বাইরে রহস্যজনক পোশাক পরিহিত ওই নারীদের সাথে আলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে নূর আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে নুরসহ ওই নারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গণ অধিকার পরিষদের মতো ভূইফোঁড় সংগঠনের নেতা হয়েই নূর যেভাবে বিদেশে যেয়ে বেআইনি কর্মকান্ড ও অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন, তাতে তার দল বা তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হলেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। 

এছাড়া এমন একটি ছোট সংগঠনের নেতা হয়ে তার ঘনঘন বিদেশ সফর, বিতর্কিত ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক, নিঃসন্দেহে সন্দেহজনক। এ বিষয়ে তাকে নজরদারীর আওতায় আনা এবং জিজ্ঞাসাবাদ জরুরী এবং দেশ বিরোধী কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পেলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


কোটা আন্দোলনের পেছনে মতলবি মহল: ওবায়দুল কাদের

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

কোটাব্যবস্থা নিয়ে প্রচারপত্র দিলেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা

যারা ‘আমি রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের শেষ দেখিয়ে ছাড়বো: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনকারীদের রাজাকার স্লোগানের জবাব ছাত্রলীগই দেবে: কাদের

রাজাকার পরিচয় বহনকারীদের বাংলা ছাড়ার দাবি সারাদেশে

দেশে দেশে কোটা ব্যবস্থা

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটের ছাত্রদের মেধার এতো অধঃপতন!

শিক্ষার্থী আন্দোলন ফায়দা লোটার আত্মঘাতী কৌশল

যুক্তরাজ্যে থাকতে হলে রাজনীতি ছাড়তে হবে তারেককে!