বিএনপিকে এড়িয়ে নির্বাচনে যাবে কি জামায়াত?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩৯, বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় দু’দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এখন পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী হলেও বিএনপির মনোযোগ আন্দোলনে। তবে মিত্র জামায়াতে ইসলামী এগোচ্ছে ভিন্ন ‘কৌশলে’। অস্তিত্ব রক্ষায় দলটি এখন সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করছে।

সংবিধান ও মক্তিযুদ্ধের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হয় জামায়াতে ইসলামীর। নিবন্ধন বাতিল ঠেকাতে দলের পক্ষ থেকে আপিলও করা হয়। তবে এখনও সেই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল দলীয় পরিচয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। হাইকোর্টের রায় বহাল থাকায় আগামীতে যে কোনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে স্বাধীনভাবে অর্থাৎ ব্যক্তি পরিচয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। অথবা ভিন্ন কোনো প্রতীকে তাদের নির্বাচন করতে হবে। কোনোভাবেই জামায়াতের পরিচয় তারা ব্যবহার করতে পারবেনা।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত নিজস্ব প্রতীক না পেলেও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল এবং ২০টি আসনেই তাদের প্রার্থী জামানত হারিয়েছিল। এরপর থেকেই জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত হয়ে পড়ে।

২০১৮-এর নির্বাচনের পর থেকে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। ভারতসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে এমন কথা আসতে থাকে যে, বিএনপি যুদ্ধাপরাধী এবং সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে এবং তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য গড়েছে। ভারতের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই আস্তে আস্তে বিএনপি জামায়াত থেকে দূরে সরে আসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে  বিএনপি ২০ দলকে অকার্যকর করে দেয় এবং জামায়াত ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে চলতে শুরু করে। জবাবে জামায়াতও বিএনপি ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়।

অন্যদিকে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ইসি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করলেও আপিল বিভাগে চূড়ান্ত রায় এখনো হয়নি।ফলে জামায়াত চেষ্টা করছে যাতে চূড়ান্তভাবে তাদের নিবন্ধন বাতিল না হয়। এ কারণে তারা চাচ্ছে বিএনপি যদি নির্বাচনে নাও আসে তাহলে এটা তাদের শেষ সুযোগ হবে। তারা 'অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন'র ধোয়া তুলে সরকারের সাথে সমঝোতা করে চূড়ান্ত নিবন্ধন বাতিল ঠেকাবে। এবং অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে একক ভাবে নির্বাচন করার সুযোগ চাইবে।সেক্ষেত্রে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া বা  'বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি' নামে তারা নতুন যে দল ঘোষণা করেছিল তার নিবন্ধন প্রাপ্তির মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় দলটি।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাকিভাবে চাপ থাকায় এবং বিএনপি তাতে অংশ না নিলে জাতীয়পার্টিসহ জামায়াতের মতো একটা বড় শক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক  বলে অনুমিত হবে। জামায়াত সরকারের কাছ থেকে এই সুযোগটি নিতেই সরকারের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচছে বলে জানা যায়।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও তাহলে জামায়াতের ভ্যালু কমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে জামায়াত বিএনপির সাথে না যেয়ে এককভাবে নির্বাচন করলে ভোটের মাঠে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে,লাভবান হবে আওয়ামীলীগ।কেননা জামায়াত নির্বাচন না করলে সেই ভোটগুলো যাবে বিএনপির বাক্সে।

সূত্রমতে বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পূর্ন প্রস্তুতির পথে রয়েছে।দলটি ইতিমধ্যে প্রায় ১২০ আসনে প্রার্থীও চূড়ান্ত করে ফেলেছে।তবে সরকারের সাথে সমঝোতা ও বিএনপির ভূমিকার ওপরেই নির্ভর করছে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

Share This Article


উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূসের চালাকিতে ইউনেস্কোর বিস্ময়!

মুজিবনগর সরকারের দক্ষতায় ৯ মাসে হানাদার মুক্ত হয় বাংলাদেশ

সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!