গুরুত্ব বেড়েছে বাংলাদেশের, নির্বাচনেও পাশে থাকতে চায় ৩ 'সুপার পাওয়ার' দেশ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৩২, বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
  • নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও চলছে নানান তৎপরতা।
  • গণতন্ত্র আর ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ এখন প্রভাবশালী সব রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
  • দু-দেশের সম্পর্কের অবনতি চায় না ভারত।
  • চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বিভিন্ন মহলে। নির্বাচন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও চলছে নানান তৎপরতা। তবে এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন; দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে চায় ভারত, যুক্তরাষ্ট্র আর চীন। ভূ-রাজনৈতিক খেলায় যার পাশে বাংলাদেশ থাকবে, শক্তির পাল্লা তারই ভারী হবে বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারের দায়িত্ব পালন করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়ন, গণতন্ত্র আর ভূ-রাজনীতির আলোচনায় বাংলাদেশ এখন প্রভাবশালী সব রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে চতুর্থ মেয়াদেও তারা গদিতে বসবে নাকি অন্য কেউ আসবে; এমন হিসাব-নিকাষও চলছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তি ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের সুসম্পর্ক বেশ পুরোনো। বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম শক্তি চীনের সঙ্গেও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেড়েছে। বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল পরিবেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি। এছাড়া গুরুত্ব বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বের সবকটি দেশও। তবে এক্ষেত্রে বরাবরই ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তাই আগামী নির্বাচনে ভারতের মনোভাব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশের  সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। কেননা দু-দেশের সম্পর্কের অবনতি চায় না দেশটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মাটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায়, মৌলবাদীরা যেন মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকেও নজর রাখছে তারা। এমনকি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সীমিত থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত হতে চায় পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্রটি।

এছাড়া চীন-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এরই মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বলয় গঠন করতে একাধিক জোট গড়ে তুলেছে মার্কিন প্রশাসন। এর মধ্যে এশিয়ার বন্ধুদের নিয়ে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’ (আইপিএস) গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার কেন্দ্রে রয়েছে বাংলাদেশ। আর আইপিএসের আওতায় গঠিত হয়েছে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফোরাম’ (আইপিইএফ)। এসব জোটে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও চায় মার্কিন রাষ্ট্রটি। ভারতও চায় তাদের সঙ্গে আইপিইএফে থাকবে বাংলাদেশ। তবে আইপিএসে যুক্ত হওয়ার সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে আওয়ামী লীগ সরকার।

এদিকে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে সহায়তাকারী চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’ (বিআরআই) বাংলাদেশ মেরিটাইম সহযোগিতায় চুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হয়। দেশটির সঙ্গে গত প্রায় দেড় দশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে বাংলাদেশের। তবে নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করলেও আইপিএস নিয়ে উদ্বিগ্ন চীন।

এ প্রসঙ্গে সাবেক এক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে পুরো বিশ্ব। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি শাসন-প্রণালী, ভূ-রাজনীতি, কূটনীতি, দেশ পরিচালনায় দক্ষতা ও কৌশলগত দিক দিয়েও এগিয়ে তিনি। তাই ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ছাড়াও বাংলাদেশকে পাশে রাখতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে রাশিয়া, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশ। তাই আসন্ন  নির্বাচন ঘিরেও সব শক্তিশালী দেশেরই নিজস্ব স্বার্থকেন্দ্রিক চাওয়া-পাওয়া রয়েছে। ফলে তারা শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন নিয়ে গড়ে ওঠা মেরূকরণের সঙ্গে মিলিয়ে ভোটের কৌশল ঠিক করছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। আর এ কৌশলে সবচেয়ে বড় প্রভাব রাখছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক। তবে সব ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কৌশলী ভূমিকার কারণেই সুপার পাওয়ারগুলোর আগ্রহের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

Share This Article


উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূসের চালাকিতে ইউনেস্কোর বিস্ময়!

মুজিবনগর সরকারের দক্ষতায় ৯ মাসে হানাদার মুক্ত হয় বাংলাদেশ