শওকত মাহমুদের পথে আছেন বিএনপির আরও অনেক রাঘববোয়াল!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০৪, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯
  • ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’র এক নৈশভোজে উপস্থিত থাকায় বহিষ্কার হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।
  • আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি।
  • বিএনপির ভেতরে এমন অনেক রাঘববোয়াল রয়েছেন; যারা দল ভাঙতে পারেন।
  • রাঘববোয়ালদের সতর্ক করতেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপি নেতা শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের পর থেকেই একে একে বেরিয়ে আসছে অজানা সব তথ্য। প্রকাশ্যে আসছে রাঘববোয়ালদের নামও। এর মধ্যে খোদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের বিতর্কিত নেতা আমান উল্লাহ আমান, দলের স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আমির খসরুসহ আরো কয়েকজনের নামও রয়েছে ওই তালিকায়। শওকত মাহমুদের পর কে হচ্ছেন বহিষ্কার; তা নিয়ে দলে চলছে নানান আলোচনা। রাঘববোয়ালদের নাম এরই মধ্যে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

সূত্র জানায়, সন্দেহের তালিকায় বিএনপির আরো শীর্ষ ৪২ জন নেতা রয়েছেন। তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত এলেই এসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আগামী নির্বাচনের আগেই তাদের বহিষ্কার না করার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এ নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গত ১৬ মার্চ ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’র এক নৈশভোজে উপস্থিত থাকায় বহিষ্কার হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ। বহিষ্কারের বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় একটি দৈনিকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কোনো তদন্ত হয়নি। আত্মপক্ষ সমর্থনেরও কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। তবে রাঘববোয়ালদের সতর্ক করতেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভেতরে এমন অনেক রাঘববোয়াল রয়েছেন; যারা দল ভাঙতে পারেন। দল থেকে চলে গিয়ে নতুন দলও গঠন করতে পারেন। দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকলেও বগলের নিচে ছুরি রেখে শান দিচ্ছেন। সময়মতো আঘাত করবেন।

সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমার মতো ক্ষুদ্র একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দল ভাঙার কিংবা বিরোধ সৃষ্টির অভিযোগ নিঃসন্দেহে ভুল ধারণা। অথচ অনেকেই এখন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে পর্দার আড়ালে যোগাযোগ রাখছেন। সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে দল ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিভেদেরও চেষ্টা করছেন। তলে তলে তারা নির্বাচনী প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। কিন্তু তাদের ব্যাপারে দলের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।

শওকত মাহমুদ আরও অভিযোগ করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বিশেষ মহলের যোগাযোগ রয়েছে। ধীরে ধীরে তারাই আলাদা অবস্থান নেবেন। অংশ নেবেন জাতীয় নির্বাচনেও। বিষয়টি টের পেয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলায় দলের রাঘববোয়ালদের রোষানলে পড়েছেন তিনি। সুবিধাবাদী নেতাদের কথায় তাকে দল থেকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা বিএনপির গঠনতন্ত্রের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

Share This Article


যে তিন কারণে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চায় বিএনপির তৃণমূল

উপজেলা নির্বাচন: ফের গণবহিস্কার বিএনপিতে!

উপজেলা নির্বাচন: বিএনপিকে ধোঁকা দিল জামায়াত!

উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি