প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লিখা বাইডেন'র চিঠিতে 'জয় বাংলা'!

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এ দেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এই শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এর আগে কোনো প্রেসিডেন্ট ‘জয় বাংলা’ বলেননি।
২৭ মার্চ ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস চিঠিটি শেয়ার করেছে, যেখানে বাইডেন বলেছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের কূটনৈতিক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসাথে অনেক কিছু অর্জন করেছে।
তবে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে 'গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে জড়িত থাকার' অভিযোগে বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকেই জো বাইডেন সরকারের উপর সবার নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছিলো।কিন্তু সেকারণে দু’দেশের সম্পর্কে বিশেষ করে আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে সম্পর্ক'র যে কোনো অবনতি হয়নি চিঠিতে 'জয় বাংলা' ব্যবহার করে তা স্পষ্ট করলেন বাইডেন নিজেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে (শেখ হাসিনা) এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও মুক্তির মূল্য গভীরভাবে বোঝে, কারণ তারা ১৯৭১ সালে তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরা নির্ধারণ করতে এবং তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য সাহসের সাথে লড়াই করেছে।’
বাইডেন লিখেছেন, বিগত অর্ধ শতাব্দীর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রগতি, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলা, এবং একটি সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার অর্জিত হয়েছে।
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে তাদের স্বাগত জানানোয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে জো বাইডেন বলেন, ‘আপনি বাস্তবে বিশ্বের জন্য সহানুভূতি ও উদারতার উদাহরণ স্থাপন করেছেন। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করার এবং নৃশংসতার জন্য দায়ী অপরাধীদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন করার অঙ্গীকারে অংশীদার।’
তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষায় বাংলাদেশের প্রদর্শিত অঙ্গীকারেরও প্রশংসা করেন। বাইডেন বলেন, ‘আমরা গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সহ-আয়োজনের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই, যা বৈশ্বিক মহামারী অবসানে রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নীত করেছে।’
শুভেচ্ছা বার্তার শেষে জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘উদ্যাপনের দিনটিতে আপনি ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভকামনা। জয় বাংলা।’