এলাম, দেখলাম এবং জয় করলাম’: খালেদা জিয়া নাকি শেখ হাসিনা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১২, শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯

শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ‘এলাম দেখলাম জয় করলাম’যদি কেউ মনে করে তা অযৌক্তিক এবং হাস্যকরও বটে। বিপরীত পক্ষে এটি খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য বলা যায়

বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গণে নতুন করে আলোচনায় এসেছে প্রাচীন রোমান সাম্রাট জুলিয়াস সিজারের ‘আমি এলাম, দেখলাম ও জয় করলাম' ইতিহাস বিখ্যাত উক্তিটি। সম্প্রতি কিছু বুদ্ধিজীবী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে প্রবেশের সাথে সিজারের উক্তিটি মেলানোর চেষ্টা করছেন।

কেউ কেউ বলছেন, সিজারের উক্তি খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আবার কেউ কেউ বলছেন, সিজারের উক্তি শেখ হাসিনার বেলায় মানায় না। এই নিয়ে রাজনীতি অঙ্গণে চলছে যুক্তি পাল্টা যুক্তি।

সমালোচকরা বলছেন, খালেদা জিয়া যে দলে এলেন সেই দল দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করে ও জনগণের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ক্যান্টনমেন্টে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ জিয়ার বিধবা স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে তাকে দলীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন। এর আগে রাজনীতির সঙ্গে বেগম জিয়ার কোন ধরনের সম্পৃক্ততাই ছিল না।

অন্যদিকে স্কুলজীবনেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ১৯৬২-তে স্কুলের ছাত্রী হয়েও আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। আজিমপুর গার্লস স্কুল থেকে তাঁর নেতৃত্বে মিছিল গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়েছেন। তাঁর কন্যা হিসেবে স্বাভবিকভাবেই তাঁর পিতার কাছ থেকে রাজনীতি শিখেছেন। ইচ্ছা না থাকলেও শিখেছেন। কারণ পরিবেশটাই ছিল একটি রাজনীতির কারখানা। তার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গৃহিণী হয়েও ছিলেন অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন ।

যখন মেয়েদের মধ্যে ছাত্রলীগ ছিল না তখন শেখ হাসিনা বদরুননেসা কলেজে অধ্যয়নকালে ১৯৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে কলেজ ইউনিয়নের সহসভাপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তখন তো মোনায়েম খানের কঠিন যুগ এবং তার পিতা তখন ছয় দফা দিয়েছেন। মোনায়েম খান যখন সরাসরি ঘোষণা করলেন যে, শেখ মুজিবের মেয়ে যদি নির্বাচনে বিজয়ী হয় তাহলে এটা ছয় দফার জন্য ম্যান্ডেট হয়ে যাবে। তারপরও তিনি সহসভাপতি নির্বাচন করলেন। ওই নির্বাচনে ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু যখন কঠিন সময়ে জেলে ছিলেন তখন গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলো দলের জন্য শেখ হাসিনাই বহন করতেন এবং সেই খবরগুলো এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, তখনকার সরকার বা তার এজেন্টরা যদি জানতে পারতো তাহলে শেখ হাসিনাকে হত্যাই করে ফেলতো। কিন্তু সেই সময়ও তিনি সাহস দেখিয়েছেন।

১৯৭৫-থেকে এক-এগারোর মতো আরও অনেক কঠিন কঠিন সময়ে শেখ হাসিনা তাঁর বুদ্ধিমত্তা এবং রাজনৈতিক সাহস দেখিয়েছেন। এছাড়া ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের সভাপতি হন এবং দলকে সুসংগঠিত করে ২১ বছর পরে প্রতিবিপ্লবীদের প্রতিহত করে আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনেন। প্রতিবিপ্লবীদের প্রতিহত করে ক্ষমতায় আসার ইতিহাস সমগ্র বিশ্বে খুব কমই আছে। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন শেখ হাসিনা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার উত্তরণ এবং বিকাশ কোনো ম্যাজিক নয়। বরং সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা এবং আদর্শের জন্যই তিনি সব প্রতিকূলতাকে জয় করে আজকের জায়গায় এসেছেন। সুতরাং শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ‘এলাম দেখলাম জয় করলাম’যদি কেউ মনে করে তা অযৌক্তিক এবং হাস্যকরও বটে। বিপরীত পক্ষে এটি খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য বলা যায় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

Share This Article


বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূসের চালাকিতে ইউনেস্কোর বিস্ময়!

মুজিবনগর সরকারের দক্ষতায় ৯ মাসে হানাদার মুক্ত হয় বাংলাদেশ

সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!

ফের বিএনপি জামায়াত সম্পর্ক: উদ্বিগ্ন বিদেশি কূটনীতিকরা

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে বাড়বে গোপন তৎপরতা, মত শিক্ষাবিদদের

প্রসঙ্গ বুয়েট: ছাত্র রাজনীতি বন্ধের প্রচেষ্টা দেশের জন্য স্থায়ী অকল্যাণ বয়ে আনবে

বেগম জিয়ার ঘনঘন ‘ফিরোজা টু এভার কেয়ার’ রহস্য উন্মোচন!

যে কারণে অপসারণের আগেই গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়তে চেয়েছিলেন ড. ইউনূস

মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন নয়, 'মাইনাস টু ফর্মুলা’র জনক ছিলেন ইউনূস!

ড. ইউনূসের পক্ষে আইনকানুন ও যুক্তির ব্যবহার নেই, আছে আবেগের বাড়াবাড়ি

আর রাখঢাক নয়: ফের প্ৰকাশ্য হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক!