ইনসাফ কায়েম কমিটির পেছনে সরকার নাকি বিএনপি-জামায়াত?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:১৮, শুক্রবার, ২৪ মার্চ, ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯
  • ‘ইনসাফ কমিটির কর্মকাণ্ড’ আলোচনায় আসতেই এর সঙ্গে সরকারকে জড়াতে চাইছে একটি পক্ষ।
  • জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আড়ালে কাজ করছে জামায়াত।
  • বিএনপিরই একটি উইং হিসেবে কাজ করছে ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’।
  • আড়ালে থেকেই বিএনপির হয়ে কাজ করতে সুবিধা হয় তাদের।

জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে বিভিন্ন প্রশ্নের ডালপালা। এর পেছনে সরকার, জামায়াত নাকি বিএনপি কাজ করছে; এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। কিন্তু সম্প্রতি ‘ইনসাফ কমিটির কর্মকাণ্ড’ আলোচনায় আসতেই এর সঙ্গে সরকারকে জড়াতে চাইছে একটি পক্ষ। বিএনপির মধ্যে ভাঙন ধরাতে দলটির নেতা শওকত মাহমুদকে সরকার হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে বলেও দাবি তাদের।

তবে এমন দাবি নাকচ করেছেন আওয়ামী লীগপন্থী কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তারা বলছেন ‘সরকার এমন নির্বোধ নয় যে, শওকত মাহমুদের মতো একজন নেতাকে দিয়ে বিএনপিতে ভাঙন ধরাবে। কেননা ভাইস চেয়ারম্যান পদে থাকলেও নিজ দলেই শওকত মাহমুদ অজনপ্রিয় ও বিতর্কিত ছিলেন। ফলে বিএনপি ভেঙে তাকে দিয়ে আলাদা কোনো দলও গড়া সম্ভব নয়। তাই এর পেছনে সরকারের হাত থাকার তথ্য গ্রহণযোগ্য নয়।’

তবে কেউ কেউ বলছেন, জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আড়ালে কাজ করছে জামায়াত। কারণ জামায়াত নেতাদের সঙ্গে শওকত মাহমুদের সখ্যতার বিষয়টি পুরোনো। নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এজন্য দলটি বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইনসাফ কমিটির মাধ্যমে সবাইকে একসারিতে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন দলটির নেতারা। এছাড়া জামায়াতপন্থী সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীও এই কমিটিতে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে, যদিও পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। ওই দিনের নৈশভোজেও তিনি উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে বিএনপিরই একটি উইং হিসেবে কাজ করছে ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’, দৃঢ়তার সঙ্গে এমন দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সব ধরনের আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে এখন কৌশলে ইনসাফ কমিটিকে সামনে এনেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এছাড়া শওকত মাহমুদকে দিয়ে ইশতেহারও পড়িয়েছেন, আর বিষয়টি সামনে আসতেই নিজেদের আড়ালে রেখে ‘বহিষ্কারের নাটক’ সাজানো হয়। তবে কাগজে-কলমে বহিষ্কার হলেও বিএনপির হয়েই শওকত মাহমুদ কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য।

তথ্যমতে, বিএনপির ‘বি-টিম’ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে গঠিত হয়েছিল জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি। তবে দীর্ঘদিন অন্ধকারে থাকার পর গত ১৬ মার্চ রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজের আয়োজন করে সংগঠনটি। এর নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক বিতর্কিত বিএনপিপন্থী সুশীল ফরহাদ মজহার ও সদস্য সচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ।

সমালোচকরা বলছেন, যেকোনো নির্বাচনে ‘পদত্যাগ-বহিষ্কার’ বিএনপির নতুন কিছু নয়। স্থানীয় সরকার বা উপনির্বাচনেও দলটি কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করেছে। এমন নেতার সংখ্যা কম নয়। নির্বাচন শেষে আবারও তাদের দলে ভেড়ানো হয়েছে, আর এটিই হচ্ছে মাঠের এই বিরোধী দলের সবচেয়ে বড় কৌশল। কারণ পদত্যাগ বা বহিষ্কৃত কোনো নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ানোর ‍সুযোগ পান। ফলে আড়ালে থেকেই বিএনপির হয়ে কাজ করতে সুবিধা হয় তাদের। এবারও দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ না নিয়েও নিজেদের লোক নির্বাচনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে সংসদে পাঠানোর একটা কৌশল নিয়েছে দলটি। জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি গঠন ও বহিষ্কার এরই অংশ বলেই মনে করছেন তারা।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূসের চালাকিতে ইউনেস্কোর বিস্ময়!

মুজিবনগর সরকারের দক্ষতায় ৯ মাসে হানাদার মুক্ত হয় বাংলাদেশ

সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!