বিশ্বে তীব্র হচ্ছে পানির সংকট
![বিশ্বে তীব্র হচ্ছে পানির সংকট](/Uploads/Images/News/2023/3/Image-11187-20230323111555.webp)
বিশ্বজুড়েই পানির সংকট চলছে। এই সংকট আরও গভীর অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কারণ একদিকে যেমন পানির চাহিদা বেড়েছে, অন্যদিকে জলবায়ু সংকট পানির উৎসের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বৈশ্বিক পানি উন্নয়ন বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, গত ৪০ বছরে পানির ব্যবহার বছরে প্রায় এক শতাংশ করে বেড়েছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ব্যবহারের ধরনে পরিবর্তন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শহর এলাকায় যেসব মানুষ তীব্র পানির সংকটের সম্মুখীন ২০৫০ সালের মধ্যে তাদের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। তাছাড়া আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শহর এলাকায় পানির চাহিদা বাড়বে ৮০ শতাংশ।
প্রতিবেদনের প্রধান লেখক রিচার্ড কনর বলেন, পানির ঘাটতির সমস্যা মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ না নিলে, অবশ্যই একটি বৈশ্বিক সংকট দেখা দেবে।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ দুইশ কোটি মানুষ নিরাপদ পানি পান করতে পারছে না। অন্যদিকে নিরাপদভাবে স্যানিটেশন অ্যাকসেস পাচ্ছে না সাড়ে তিনশ কোটির বেশি মানুষ।
যেসব দেশে অত্যাধিক পানির সংকট রয়েছে সেখানে বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ বসবাস করে।
কনর বলেন, শহর-ইন্ডাস্ট্রিয়াল বৃদ্ধি এবং কৃষি বিদ্যমান ঘাটতিকে আরও জটিল করে তুলছে। শুধু কৃষিখাতেই বিশ্বের পানি সরবরাহের ৭০ শতাংশ ব্যবহার করা হয়।
মধ্য আফ্রিকা, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশসহ যেখানে বর্তমানে প্রচুর পানি রয়েছে সেখানেও মৌসুমি পানির ঘাটতি বাড়তে পারে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে পানির অভাব আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। সেখানে এরই মধ্যে সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবেদনের এই লেখক বলেন, জলবায়ু সংকের ফলে সৃষ্ট অধিক ও দীর্ঘমেয়াদি খরা ইকোসিস্টেমের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যা প্ল্যান্ট ও পশু-পাখির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।