দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:একই ফাঁদে বিএনপি!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:২৬, বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯

দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরইমধ্যে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও এখন পর্যন্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। এর ব্যত্যয় হলে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও পশ্চিমাদের কাছে অনেক আগেই স্পষ্ট করেছে দলটি। তবে এ সিদ্ধান্তকে ২০১৪ সালের মতো ‘একই ফাঁদ’ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

 

২০১৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। সেসময় জাতিসংঘের বিশেষ দূত তারানকো ফার্নান্দেজ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এমনকি সেই নির্বাচনের পরে ছয় মাসের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে বিএনপি।

বিএনপি ধারণা করেছিল যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সাথে আছে, তারা নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। আর এই অযুহাতে বিদেশিরা সরকারকে চাপ প্রয়োগ করলে নির্বাচন হবে না। কিন্তু বিএনপির এই ভাবনা মূলত কোনো কাজেই আসেনি। বরং যথা সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেছে। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ১৫৩ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

পরবর্তীতে সেই ভুল করেনি বিএনপি। ভুল বুঝতে পেরে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। উদ্দেশ্য নির্বাচনে যতগুলো আসন পাবে তা নিয়েই সংসদে প্রবেশ করা এবং তাদের মতামত সেখানে তুলে ধরা। যদিও কথিত 'চলমান আন্দোলন'র অংশ হিসেবে  সম্প্রতি বিএনপির সিদ্ধান্তে দলের এমপিরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে গিয়েছেন।

তবে  আবারও  বিএনপি ২০১৪ সালের মতো একই ভুল করতে চলেছে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। ঘুরে ফিরে একই ফাঁদে পা দিচ্ছে তারা। বিএনপি মনে করছে, বিদেশিদের আশ্বাস রয়েছে অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হওয়ার। আর বিএনপি নির্বাচনে না গেলে অংশগ্রহণ মূলক হবে না। ফলে নির্বাচনও হবে না। তাইতো দ্বাদশ নির্বাচনের পূর্বে বিভিন্ন পায়তারা অজুহাতে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারও বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণ মূলক হবে। কারণ এখন পর্যন্ত বিএনপি ছাড়া একটি দলও নির্বাচন করবে না, এ ধরনের কোনো কথা বলেনি। উল্টো নির্বাচনকে ঘিরে সবাই আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে। সবাই মাঠের প্রার্থী ঠিক করছে। কেউ কেউ নেমেছেন প্রচারণায়ও।কাজেই কুটনীতিকদের কূটনৈতিক ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হয়ে ঘুরে ফিরে ২০১৪ সালের মতো দলটি একই ফাঁদে পা দিতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


উপজেলা নির্বাচন বর্জন : লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি বিএনপির!

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সংকটে বিএনপি: প্রকাশ্য বিদ্রোহ!

ফের কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ: ব্রিটিশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের তৎপরতা শুরু!

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম কি কমেছে?

দেশের মানুষের ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে ইউনুসের দুশ্চিন্তা: সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরস!

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ১৭ এপ্রিল

আন্দোলন নিয়ে শরিকদের কোনো দিক নির্দেশনা দিতে পারছে না বিএনপি!

কখনোই যাকাত-ফেতরা দেননা ড. ইউনুস!

বিএনপির আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা ছিলো না বলেই সরকার পতন হয়নি: শিবির সভাপতি

পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূসের চালাকিতে ইউনেস্কোর বিস্ময়!

মুজিবনগর সরকারের দক্ষতায় ৯ মাসে হানাদার মুক্ত হয় বাংলাদেশ

সামরিক শাসকের অধীনে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইউনূসের মুখে গণতন্ত্র!