বিএনপির সঙ্গী ১২ দলীয় জোটেও ভাঙন!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৯:১৯, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩, ৭ চৈত্র ১৪২৯
  • বিএনপির সঙ্গী হতে গত ডিসেম্বরে গঠন করা হয় ১২ দলীয় জোট।
  • এসব দল এক হলেও ঘাটতি ছিল নেতৃত্বের।
  • ১২ দলীয় জোটের একটি প্রোগ্রামে হঠাৎ হাজির হন বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু।
  • খরচের ভাগটা বেশিরভাগই পড়তো লেবার পার্টি, কাজী জাফরের জাতীয় পার্টিসহ আরও দু-তিনটি সংগঠনের ওপর।

প্রায় এক দশক আগে বিএনপির নেতৃত্বে গঠন করা হয় ২০ দলীয় জোট। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও কৌশলগতভাবে বিএনপি আর জোটের সঙ্গে নেই; এমন ইঙ্গিত ছিল গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই। বারবার সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছিল দলটি। সেই যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গী হতে গত ডিসেম্বরে গঠন করা হয় ১২ দলীয় জোট। কিন্তু তিন মাস না পেরোতেই জোটে ভাঙন ধরেছে। এরই মধ্যে জোট থেকে বেরিয়ে গেছে শরিক ‘লেবার পার্টি’। বিশ্বাসের টানাপোড়েনে জোটে এমন ভাঙন ধরেছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

সূত্র জানায়, বিএনপিকে সঙ্গী রেখে এসব দল এক হলেও ঘাটতি ছিল নেতৃত্বের। চিন্তাধারাও ছিল ভিন্ন। তবে ১২ দলীয় জোটের মধ্যে ভাঙনের অন্যতম কারণ হলো সমন্বয়হীনতা। কেননা লোকবল ও অর্থ জোগানের ক্ষেত্রে লেবার পার্টি ছিল এগিয়ে। এছাড়া বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে আদৌ কি কোনো সুফল আসবে নাকি এভাবেই দিন কেটে যাবে; এসব ভাবনা থেকেই জোট থেকে সরে দাঁড়ান লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবার পার্টির একজন নেতা বলেন, সম্প্রতি ১২ দলীয় জোটের একটি প্রোগ্রামে হঠাৎ হাজির হন বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু। কিন্তু বিষয়টি ১২ দলীয় জোটের সবাই জানতেন না। একপর্যায়ে জানা গেল তিনি মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন। তবে সেই টাকা কোথায়, কিভাবে খরচ হয়েছে তা জানতেন না লেবার পার্টির চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু খরচের ভাগটা বেশিরভাগই পড়তো লেবার পার্টি, কাজী জাফরের জাতীয় পার্টিসহ আরও দু-তিনটি সংগঠনের ওপর। একই সঙ্গে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে লোকবলও তারা বেশি দিতেন। বাকিরা ঘরে বসে আরাম করতেন। আর বিএনপির সঙ্গে হাত রেখে সব ধরনের সুবিধা নিতেন। এছাড়া ১২ দলীয় জোটকে নিয়ে কী করতে চায় তা পরিষ্কার করেনি বিএনপি। আর এসব কারণেই মূলত জোটে ভাঙন ধরেছে।

সমালোচকরা বলছেন, কৌশলগত কারণে জোট বিলুপ্ত করলেও ১২ দলীয় জোট বিএনপির ইশারা ও সাপোর্টেই তৈরি হয়েছিল। এটির বেশ গুরুত্ত্ব ছিল বিএনপির কাছে। কিন্তু যুগপৎ আন্দোলনে তাদের মূল্যায়ন করেনি বিএনপি। শুধুমাত্র লোকবল পাওয়ার আশায় জোটকে পাশে রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হতো না। তাই জোট থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট দলগুলো। তবে নির্বাচনী বছরে এমন ভাঙনে বিএনপিতে গৃহদাহ দেখা দিতে পারে। ফলে আন্দোলনের চেয়েও নিজের ঘর সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে দলটির জন্য।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আত্মপ্রকাশ হয় ১২ দলীয় জোটের। বিলুপ্ত হওয়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ছিল এসব দল। রাজনৈতিক দলগুলো হলো- জাতীয় পার্টি (জাফর), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, বাংলাদেশ এলডিপি, জাতীয় গণতান্ত্রিক দল (জাগপা), এনডিপি, মুসলিম লীগ (বিএমএল), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল।

Share This Article


চট্রগ্রাম মেডিকেলের অজ্ঞাত লাশকে শিক্ষার্থীদের লাশ বলে চালানোর চেষ্টা!

শিক্ষার্থীদের পাশে দেশবাসীকে দাঁড়ানোর আহবান ফখরুলের: পাশে দাঁড়িয়েছে কি বিএনপি?

ঢাকা কলেজের ছাত্রের প্রাণহানি, সারা দেশে নিন্দার ঝড়

শিবির-ছাত্রদলের নির্মমতা: চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ১৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে

আমরা সরকার পতন করেই ঘরে ফিরবো: গাজীপুর থেকে আগত শিবির কর্মী

কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ, শিক্ষকদের মারধর

প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্যের মর্মার্থ বিকৃত করলো কারা

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

ঢাবি ক্যাম্পাসে যেভাবে জড়ায় ছাত্রলীগ

'রাজাকার' পরিচয় দিতে একবারও লজ্জা হলো না তাদের