জাতীয় ইনসাফ কমিটি, বিএনপিরই বি টিম: বিশ্লেষক অভিমত

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১৪, সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯

দলটি তাদের লক্ষ্য হিসেবে 'অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করে তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি করেছে তা বিএনপির মূল দাবির সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ। কাজেই এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং বিএনপির আলাদা একটি উইয়ং বা বি টিম বলা যায়

আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’নামে নাগরিক অধিকারবিষয়ক একটি সংগঠনের। ১৬ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর শেরাটন হেটেলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নৈশভোজের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে সংগঠনটির। সংগঠনটির আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার আর সদস্যসচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ৷

অন্তর্বর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠন করে সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। ২০১৩ সালে এই সংগঠনটি গঠন করা হয়েছিল বলে দাবি করা হলেও এটাই তাদের প্রথম প্রকাশ্য অনুষ্ঠান৷ অনুষ্ঠানে এখনও সব প্রকাশিত হয়নি, বিশেষ করে কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নাম তারা জানাননি৷

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, রেজা কিবরিয়া ও দিগন্ত মিডিয়ার চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি-জামায়তপন্থি বিশিষ্টজন ও সরকারের সমালোচক। এছাড়া বিএনপি-জামায়াতপন্থি আরও অনেক শিক্ষাবিদ ও আইনবিদও অনুষ্ঠানে যোগ দেন বলে জানা যায়।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশররফ হোসেন বলেন, ওই ধরনের কোনো সংগঠনের ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই৷ আমাদের পার্টিতে এটা নিয়ে কখনো কোনো কথা হয়নি৷ শওকত মাহমুদ কেন গিয়েছেন, ওই সংগঠনের তিনি কী তা আমরা জানি না৷’

তবে ভিন্ন কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, শওকত মাহমুদ বিএনপি থেকে এখনো পদত্যাগ করেননি। তিনি দলটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিএনপির হাইকমান্ডের অনুমতি ছাড়া এমন উদ্যোগ নেয়ার দুঃসাহস তিনি নিতেই পারেন না। অরাজনৈতিক সংগঠন বলা হলেও জাতীয় ইনসাফ কমিটির সবাই রাজনৈতিক ব্যক্তি। কমিটিতে যারা আছেন তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।

এছাড়া 'দলটি তাদের লক্ষ্য হিসেবে 'অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করে তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি করেছে তা বিএনপির মূল দাবির সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ। কাজেই এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক এবং বিএনপির আলাদা একটি উইয়ং বা বি টিম বলা যায়।

অন্যদিকে অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা নৈশ ভোজের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম৷ ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদ ছাড়া আর কেউ সেখানে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেননি৷ এই সংগঠন দিয়ে কিছু হবে না৷ ফরহাদ মজহার যা বলেছেন সেগুলো শো অফ যে বোঝা যায় না৷ আর শওকত মাহমুদ যে লিখিত বক্তব্য পড়েছেন, তা অনেকটা পরিষ্কার ও পলিটিক্যাল৷

সমালোচকররা বলছেন, যেহেতু বর্তমান সরকারের অধীনে সরাসরি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি সেহেতু বড় বড় নেতাদের দিয়ে বা দলীয়ভাবে নির্বাচনে যাবে না তারা। তাই সরকার বিরোধী শক্তি হিসেবে পরোক্ষভাবে কাজ করতেই নির্বাচনী বছরে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে বিএনপি। মূলত বিএনপির ইশারা ও অর্থায়নেই জাতীয় ইনসাফ কমিটি আত্মপ্রকাশ হয়েছে বলে মনে করেন সমালোচকরা।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


ভোটকেন্দ্র ফাঁকা দেখাতে বিএনপি-জামায়াতের বিশেষ মিশন

১০ ডিসেম্বর: একই দিনে সমাবেশ হলেও পাল্টাপাল্টি নয়!

শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাতেই আস্থা বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানালো ভারত

বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় চলছে বিএনপির অবরোধ

যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে নির্বাচন পর্যন্তই অপেক্ষা করতে চায় বিএনপি!

বিএনএম-এ যোগ দিচ্ছেন বিএনপির আরো ১৭ সাবেক এমপি!

যে তিন শর্তে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী ছিল বিএনপি!

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের একই চাওয়া!

ঢাকায় যাত্রীবেশে ২৭ মিনিটে তিন বাসে আগুন

দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ঝাড়ার মোক্ষম সময় কাজে লাগাচ্ছেন বিএনপি নেতারা!

হরতাল-অবরোধ ব্যর্থ, তবু হঠাৎ প্রাণ চাঞ্চল্য বিএনপিতে!

শওকত মাহমুদও আওয়ামী লীগে!