ভারত-বাংলাদেশ ডিজেল পাইপলাইন, জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১২, শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩, ৪ চৈত্র ১৪২৯

শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাইপলাইনের পুরোটাই নির্মাণ হয়েছে ভারতের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায়, যা দুদেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছে জ্বালানী বিভাগ।

পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি শুরু হয়েছে। ১৮ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ডিজেল আমদানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানী নিরাপত্তা অনেকটাই সুসংহত হলো বলে মনে করছেন জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা।

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভারতের নুমালিগড় থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ১৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনে বাংলাদেশের পার্বতীপুরে হয়ে ডিজেল প্রবেশ করছে। এই পাইপলাইন দিয়ে ১৫ বছর ধরে ডিজেল আমদানি করা হবে।

ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম তিন বছর বার্ষিক দুই লাখ টন করে, পরের তিন বছর তিন লাখ টন করে, পরের চার বছর পাঁচ লাখ টন করে এবং পরবর্তী বছরগুলোতে বার্ষিক ১০ লাখ টন করে জ্বালানি ভারত থেকে বাংলাদেশে আসবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারীরা জানান, প্রথম দিন পাইপলাইনে এক কোটি লিটার ডিজেল আসবে। পরে এলসি খোলাসাপেক্ষে দেশে ডিজেল আসবে। দীর্ঘ এ পাইপলাইনে চার হাজার ৭০০ টন তেল সব সময় সংরক্ষিত থাকবে। পার্বতীপুরে আগে থেকেই বিপিসির ১৫ হাজার টন তেল মজুদ করার মতো ট্যাঙ্কার রয়েছে। নতুন করে সেখানে আরও ছয়টি ট্যাঙ্কার নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ধারণ ক্ষমতা ২৯ হাজার টন।

জ্বালানী সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি দেশের জন্য বিকল্প উৎস। ভবিষ্যতে বিশ্ববাজারে সংকট তৈরি হলেও পাইপলাইনে ভারত থেকে বাড়তি ডিজেল আমদানি করা যাবে। এর ফলে একদিকে বাংলাদেশের অনেক সময় সাশ্রয় হবে অন্যদিকে কমে আসবে পরিবহন ব্যয়ও। এতে জ্বালানী নিরাপত্তা আরো সুদৃঢ় হবে।

এই পাইপলাইনের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের চাহিদা মোতাবেক ডিজেল ভারত থেকে সহজ, সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানি করা যাবে। ভারত থেকে আসা ডিজেলে সালফারের মান ১০ পিপিএমের নিচে, যা আন্তর্জাতিক সূচক অনুযায়ী অত্যন্ত ভালোমানের তেল।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ মেট্রিক টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে কম খরচে নতুন উৎস থেকে ডিজেল আমদানির পথ খুঁজছে সরকার। ভারত থেকে পাইপলাইনে ডিজেল আমদানিকে বিকল্প উৎস হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ডিজেল আমদানির জন্য রাশিয়া ও ব্রুনেইর সঙ্গেও আলোচনা করছে সরকার।

উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাইপলাইনের পুরোটাই নির্মাণ হয়েছে ভারতের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায়, যা দুদেশের সম্পর্কের নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছে জ্বালানী বিভাগ।

Share This Article


বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের সুযোগ রয়েছে

বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

দুপুরের মধ্যে সিলেট বিভাগে ঝড়-বৃষ্টির আভাস

থাইল্যান্ডের রাজা-রানির রাজকীয় অতিথি শেখ হাসিনা

৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান

ওমরাহ পালনে সৌদির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন পাটমন্ত্রী

‘বাংলাদেশ অনেক পণ্যে এখন স্বাবলম্বী’

বিশ্বব্যাপী সব যুদ্ধ বন্ধের উদাত্ত আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে

ফসলের মাঠে সোনারঙ, তীব্র গরমেও কৃষকের মুখে হাসি

মধুখালীর ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী