এলডিসির মঞ্চে সফল কূটনীতি : সম্মেলন ছিলো বাংলাদেশময়!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১০, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩, ২ চৈত্র ১৪২৯

এটিই ছিলো এলডিসিতে বাংলাদেশের শেষ সম্মেলন

বাংলাদেশ বরাবরই এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে আখ্যায়িত

সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রোহিঙ্গা সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রী নতুনকরে সবাইকে স্মরন করিয়ে দিয়ে দেন

সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সাফল্য এসেছে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে। 

 

গত ৫ থেকে ৯ মার্চ কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) পঞ্চম সম্মেলন। পাঁচ দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতি ছিলো অন্যান্য দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। কারণ আর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই স্বল্পন্নত দেশের তালিকা থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফলে এটিই ছিলো এলডিসিতে বাংলাদেশের শেষ সম্মেলন।

বাংলাদেশ বরাবরই এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে আখ্যায়িত। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণ ঘটতে চলেছে বাংলাদেশের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবারের সম্মেলনে ঘুরেফিরে এসেছে বাংলাদেশের নাম। সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো বাংলাদেশ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বিশ্বের ৪৬টি দেশের প্রায় ১১০ কোটি মানুষ এলডিসির অন্তর্ভুক্ত, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ। যাদের ৭৫ শতাংশ মানুষই দরিদ্র্য অথবা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন যাপন করে থাকে। এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য অন্যতম প্ল্যাটফরম হচ্ছে ‘এলডিসি সম্মেলন’।

এবার, সম্মেলনে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য রেখেছেন, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে তিনি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছেন নতুন আঙ্গিকে। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অর্জন, তা তুলে ধরার মাধ্যমে তিনি এলডিসি-উত্তরণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন দেশকে।

সম্মেলনে বাংলাদেশ শুধু নিজের কথাই বলেনি, বলেছে প্রতিটি স্বল্পোন্নত দেশের কথা। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বে উত্তরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত অভিজ্ঞতার নিরিখে অন্যান্য এলডিসি দেশগুলো কীভাবে অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছে যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যপক প্রসংশিত হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে রোহিঙ্গা সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রী নতুনকরে সবাইকে স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন, সারা পৃথিবীর দৃষ্টি এখন ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা রোহিঙ্গা সমস্যা আড়ালে পড়ে যাচ্ছে!

১২ লাখ রোহিঙ্গাকে তাৎক্ষণিক আশ্রয় দিয়ে কোন সমাধান ছাড়াই এতোদিন ধরে কাজ করছি। তারপর সমস্যা দিনে দিনে কঠিনতর হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে, । এমনকি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতাও যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না। ফলে মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বাংলাদেশ, পরবর্তীকালে বিশ্বনেতৃত্ব তার কোন মূল্যায়ন করেনি—

এ ধরনের একটি বড় প্ল্যাটফরমে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরাটা অত্যন্ত  বাংলাদেশের জন্য জরুরি ছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা
যা অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

এবারের সম্মেলনে সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সাফল্য এসেছে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে। 
৬ মার্চ কাতারের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত দোহা ইনভেস্টমেন্ট সামিট ‘দ্য রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার : পটেনশিয়ালস অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’-এ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।সেখানে  বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে দুই সরকারের একটি কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের সরকার ও বেসরকারী খাতগুলোয় লাভবান হতে সবাইকে একক প্ল্যাটফর্মে আসতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে আরও রপ্তানির সুযোগ অন্বেষণে কাতারকে অনুরোধ জানিয়ে কাতারের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দলকে শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Share This Article


‘হিট অ্যালার্ট’র সময় আরও তিন দিন বাড়ল

সকালের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

১৯ দিনে রেমিট্যান্স এল ১৪ হাজার কোটি টাকা

তীব্র গরমে রোগী ভর্তি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় বিএনপি: কাদের

উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে : ইসি আলমগীর

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ’ সফরে ঢাকা আসছেন কাতারের আমীর

বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই: সেনা প্রধান

সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী