ফটোসেশন ও পুরস্কারে অন্তঃপ্রাণ ড. ইউনূস!
দেশের কোন দুর্যোগের সময় বা প্রয়োজনের সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা ড. ইউনূসকে না পেলেও বড় বড় ইভেন্টের ফটোসেশনে অংশ নিতে কার্পণ্য করেন না তিনি। দেশের সংকটে না থাকলেও ফটোসেশন ও পুরস্কারে অন্তঃপ্রাণ ড. ইউনূস।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে সাফাই গেয়ে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় আমেরিকা তথা বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে। সেখানে বিশ্বের তথাকথিত ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ড. ইউনূসের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।
ওয়াশিংটন পোস্টে ওই বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর একের পর এক নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিচ্ছেন ড. ইউনূস। এবার সমালোচনায় এসেছে তার ফটোসেশন ও পুরস্কার গ্রহণের বিষয়টি।
ড. ইউনূস কোথাও কোন পুরস্কার পেলে এই বয়সেও স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সেই পুরষ্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কার সংগ্রহ করা, পুরস্কার সংগঠিত করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি অসুখ বলে অভিহিত করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান।
সম্প্রতি বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির এক টক শোতে তিনি ড. ইউনূস সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন।
ফটোসেশনে ও পুরস্কারের বিষয়ে তিনি সর্বোচ্চ প্রচারণার আশ্রয় নেন বলেও অভিযোগ করেছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টে বিশ্বের ৪০ জন তথাকথিত বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে ড. ইউনুস কর্তৃক যে খোলা চিটি শেখ হাসিনা বরাবর লিখা হয়েছে সেখানেও তার পুরস্কারের বিষয়টি হাইলাইট করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূস ইতিহাসের সাত ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম ও কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। এই সাতজনের মধ্যে নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা ও এলি উইজেলের মতো ব্যক্তিরা আছেন।
সমালোচকরা বলছেন, নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার আগে তিনি চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে ফটোসেশনে যুক্ত হতেন। তবে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরে তাকে আর সে অঞ্চলে দেখা যায় না। চট্রগ্রামে 'জোবরা' গ্রামের মানুষের সাথে ফটোসেশনগুলো ছিল মূলত ড. ইউনূসের লোক দেখানো ও ফায়দা নেয়ার হাতিয়ার। সেই ছবি তিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পাঠিয়ে নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধার করেছেন।
দেশের কোন দুর্যোগের সময় বা প্রয়োজনের সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা ড. ইউনূসকে না পেলেও বড় বড় ইভেন্টের ফটোসেশনে অংশ নিতে কার্পণ্য করেন না তিনি। দেশের সংকটে না থাকলেও ফটোসেশন ও পুরস্কারে অন্তঃপ্রাণ ড. ইউনূস। এটি খুবই দুঃখজনক বলে মনে করেন সমালোচকরা।