নির্বাচনে আসতে ছাড় দিতে রাজি বিএনপি!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:০৬, বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩, ১ চৈত্র ১৪২৯

তত্ত্বাবধায়ক না হলেও না হলেও নির্বাচনে আসার সুযোগ সৃষ্টিতে অন্তত একটি আলোচনা,সংলাপ বা সমঝোতা বিএনপির জন্য জরুরী বলে মনে করছেন দলের নীতি নির্ধারকরা।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। অপরদিকে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এমন নিদ্ধান্তে অনড় আওয়ামী লীগও। এই অবস্থায় আগামী নির্বাচন কোন পথে যাচ্ছে সেটি নিয়ে বেশ দিধাদ্বন্দে রয়েছে দেশের মানুষ।

উল্লেখ্য  ২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়। এছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়। ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষে এই নির্বাচন ব্যবস্থায় আর ফেরা সম্ভব না।

এদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে জনসম্মুখে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে অনড় থাকলেও  বিএনপি চাইছে যেকোনভাবেই হোক একটি আলোচনা বা সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে যেতে। কারণ কোন দৃশ্যমান প্রাপ্তি বা সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনে এলে তৃণমূল নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে দলটি।  

সমাধানের পথ :

২০১৮ সালে ড.কামালের অধীনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটি জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দেয়। যদিও সেই প্রস্তাব বাস্তবতার মুখ দেখেনি, কিন্তু নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে এই মূহুর্তে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের সরকার নিয়ে নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।বেশ কিছুদিন পূর্বে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মাধ্যমে বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায়ও এসেছিল।

মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কারা পরিচালনা করবেন তারা কোন পক্ষের লোক হবেন এই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সকল পক্ষেই। তবে জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনায় সেই শংকা নেই। বলা হয়েছিলো, বিএনপি আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলগুলো থেকে বিভিন্ন পদে উপদেষ্টা নিয়োগের মাধ্যমে গঠিত হবে জাতীয় সরকার। যার ফলে সকল পক্ষের প্রতিনিধিত্বই থাকবে এই জাতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর একে-অপরের প্রতি আস্থার অভাবের কারণে কেউই কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এমন অবস্থায় নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো, এই যুক্তিতে এখন বিশ্বাস করতে হচ্ছে বিএনপিকে।

আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির পক্ষে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হবে না এবং বিএনপি নির্বাচনে সুবিধা করতে পারবে না এমন বিশ্বাস থেকেই জাতীয় সরকার নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচেছ দলটিকে। এমনকি সেটি না হলেও নির্বাচনে আসার সুযোগ সৃষ্টিতে অন্তত একটি আলোচনা,সংলাপ বা সমঝোতা বিএনপির জন্য জরুরী বলে মনে করছেন দলের নীতি নির্ধারকরা।

Share This Article


এয়ারবাসের ১০ উড়োজাহাজ কিনছে সরকার

টেকনাফ সীমান্তে আবারও গুলির শব্দ, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

ইসরায়েলকে রাফায় হামলার সবুজসংকেত দিয়েছে আমেরিকা

দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি : নসরুল হামিদ

নির্বাচন কে কীভাবে দেখবে সেটি আমাদের বিষয় না: সিইসি

সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস

টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব রক্ষায় ভারতে আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে সরকার

পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় আইওএমের মহাপরিচালক

Record foreign ships dock at Mongla

নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হতে আবেদনের সুযোগ নেই : মোজাম্মেল হক

উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত

গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে: ওবায়দুল কাদের