সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৩০, বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩, ১ চৈত্র ১৪২৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সব বিভাগেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এরইমধ্যে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।

 

আজ বুধবার সকালে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গাজীপুরের তেতুইবাড়ির কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নার্সিং পেশাকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে দিয়েছি। এই সেবার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও যেন আকৃষ্ট হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে আরও বেশি নিয়োজিত হয় আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা নার্সদের কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

৪০ হাজারের মতো নার্স নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বয়স ছিল না তবে অভিজ্ঞ হিসেবে আমরা ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যাতে তারা সেবাটা দিতে পারেন। তার সঙ্গে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষের সেবা করার দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ২৩টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করেছি। আরও ১৬টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করার প্রক্রিয়া রয়েছে। আমরা প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি। এর সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের সেবা করে। বাংলাদেশটাকে আমরা বদলে দিতে পেরেছি। আজকের বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে পেরেছি। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়েছি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ আমরা বিনা পয়সায় মানুষকে দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি কমিউনিটি ক্লিনিকে আমরা যে বিনা পয়সায় ওষুধ দেই সেখানে ইনসুলিনটাও বিনা পয়সায় দিয়ে দেব। যাতে এই রোগটা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি।'

কোভিড মহামারীকালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এখনই আমরা ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারা বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, যার ফলে মানুষের কষ্ট, যে কারণে আমরা অধিক দামে খাদ্য ক্রয় করে অল্প দামে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। যারা একেবারেই কর্মক্ষম তাদের জন্য আমরা বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি। প্রায় ১ কোটি বিশেষ পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছি, যেখানে মাত্র ৩০ টাকা দামে চাল কিনতে পারবে। সেই সঙ্গে তেল, ডাল বা রোজার সময় প্রয়োজনীয় জিনিস ছোলাসহ অন্যান্য জিনিস আমরা দিচ্ছি।'

সরকারপ্রধান বলেন, বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করছি, তারাও মেডিকেল কলেজ করছে এবং সেই সঙ্গে নার্সিং ট্রেনিংকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নার্সিংয়ের ব্যাপক চাহিদা, আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি, আমাদের প্রতিটি জেলা, উপজেলায় হাসপাতাল রয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, মাতৃসেবা কেন্দ্র রয়েছে, সবক্ষেত্রে আমাদেরই বেশি নার্সও দরকার। ’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের সিইও মো. তৌফিক বিন ইসমাইল।

এতে স্নাতক সমাপনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া কেপিজে হেলথকেয়ার ইউনিভার্সিটি উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস দাতো ডা. লোকমান সাইম।

Share This Article


শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে

পুলিশকে মেরে যারা ঝুলিয়ে রেখেছিল সবার পরিচয় পেয়েছি: হারুন

‘ট্রেন চলাচলের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি’

সহিংসতা-নাশকতার অভিযোগে ২০১ মামলায় গ্রেপ্তার ২২০৯

মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী

ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পোশাক কারখানা খুলছে আজ

দূরপাল্লার বাস চলবে, ট্রেন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই

আজ খুলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস

যেসব বিভাগে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক: আরেফিন সিদ্দিক

৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি বিটিভির আগুন