টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকা থেকে বাঙালি জাতির পিতা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:২৫, শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩, ৩ চৈত্র ১৪২৯
  • বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা; বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’।
  • এক গাছ থেকে আরেক গাছে ঝাঁপ দেয়া, পুকুরে সাঁতার কাটা ছিল নিত্যদিনের কাজ। ফুটবল খেলায়ও পারদর্শী ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
  • নিজের আত্মমর্যাদার ওপর আস্থা রাখতেন। বজায় রাখতেন আত্মবিশ্বাস। কখনো ভয়ে পিছ-পা হতেন না।
  • ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর প্রাণ নিলেও অমর হয়ে আছেন তিনি। আছেন বাঙালি চেতনার উজ্জ্বল স্মারক হয়ে।

বাইগার নদীর কোলঘেঁষে সবুজ-শ্যামলে ঘেরা টুঙ্গিপাড়া গ্রাম। আর এই গ্রামেই জন্ম নেন শেখ বংশের ‘আদরের খোকা’। কালক্রমে সেই খোকাই হয়ে ওঠেন বাঙালির ‘মুজিব ভাই’, ‘বঙ্গবন্ধু’ আর জাতির পিতা। তাঁর হাত ধরেই আসে বাঙালির স্বাধীনতা; বিশ্বের বুকে জন্ম নেয় স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮টায় তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ‘খোকা’। জন্মের কথা গ্রামের মানুষ ছাড়া আর কেউ জানেননি। কিন্তু ৫৫ বছর বয়সে যখন সেই খোকাকে নিমর্মমভাবে হত্যা করে ঘাতকদল, তখন শোকে আচ্ছন্ন হয়েছে সারা বিশ্ব। তখন তিনি টুঙ্গিপাড়ার খোকা নন, বিশ্বের কাছে পরিচিত একটি নাম ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’।

তবে খোকা থেকে মহানায়ক হয়ে ওঠার নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য আত্মত্যাগ, অকুতোভয় নেতৃত্ব আর গভীর দেশপ্রেম। তাঁর শৈশবকাল ছিল বেশ মধুর। বাবা-মা ‘খোকা’ ডাকলেও গ্রামের মানুষ তাকে ডাকতেন ‘মিঞা ভাই’। তিনি ছোটবেলায় পাখি ভালোবাসতেন। পাশাপাশি ছিল দুরন্তপনাও। এক গাছ থেকে আরেক গাছে ঝাঁপ দেয়া, পুকুরে সাঁতার কাটা ছিল নিত্যদিনের কাজ। ফুটবল খেলায়ও পারদর্শী ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ব্যক্তিজীবনেও অত্যন্ত সাদাসিধে ও সরল মনের মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করাই ছিল তার ব্রত। তিনি সবসময় নিজের আত্মমর্যাদার ওপর আস্থা রাখতেন। বজায় রাখতেন আত্মবিশ্বাস। কখনো ভয়ে পিছ-পা হতেন না। বুকে রাখতেন সৎ সাহস। সর্বদা সোচ্চার ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এজন্যই জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছিলেন তিনি। হয়েছেন প্রিয় নেতা।

ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্কুল জীবনেই নেন রাজনৈতিক দীক্ষা। গোপালগঞ্জের মিশনারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে প্রথম জেল খাটেন তিনি।

১৯৪২ সালে ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৬ সালে একই কলেজে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ঢাকায় ফিরে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা নিয়ে অগ্রসর হন শেখ মুজিবুর রহমান। সহকর্মীদের নিয়ে ১৯৪৮ সালে গঠন করেন ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠিত হলে যুগ্ম সম্পাদকের পদ পান তিনি।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তী সময়ে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই করার পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাঙালিরা।

তবে স্বাধীন বাংলাদেশে বেশিদিন দেশ গঠনের কাজ করে যেতে পারেননি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন তিনি। তবে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর প্রাণ নিলেও অমর হয়ে আছেন তিনি। আছেন বাঙালি চেতনার উজ্জ্বল স্মারক হয়ে। তার দেখানো পথেই কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়নের অগ্রগতিতে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। মহান এই মানুষটির জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ সারাদেশে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস, যেন তার আদর্শের উজ্জীবিত হয়ে গড়ে ওঠে এ দেশের সকল শিশু।

Share This Article

‘প্রার্থিতা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা দলীয় নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা’

মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করে সম্পর্ক বাড়ানোর ঘোষণা ইরান-পাকিস্তানের

থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

পাটশিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে : নানক

বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা

উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী তিমুর ইভানভ

রাশিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

উত্তপ্ত মধুখালী, পুলিশের ওপর হামলা, সংঘর্ষে প্রাণ নাশ!

উত্তপ্ত মধুখালী: বহিরাগতদের আনাগোনা, পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চাইছে কারা?


ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির

বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গঠন করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

পাট পণ্যের উন্নয়ন ও বিপণনে সমন্বিত পথনকশা প্রণয়ন করা হবে: পাটমন্ত্রী

মিয়ানমারের নৌ জাহাজে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

বান্দরবানের তিন উপজেলার ভোট স্থগিত

গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৮ নির্দেশনা

প্রধান ১৫টি রুটে বাড়ল ট্রেনের আসন ভাড়া

বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে আজ

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস, ৪ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা

ঢাকায় কাতারের আমির, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক আজ

অবশেষে আমিরাতের বন্দরে ভিড়ল এমভি আবদুল্লাহ