ড. ইউনূস'র জীবনের সবচেয়ে বড় লজ্জা!
- পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে তার সততা ও সাধারণ জীবনযাপনের আড়ালে আসল সত্যটি প্রকাশ করেন সাংবাদিক ও বিশ্লেষকরা।
- বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই রয়েছে।
- আসলে বাহ্যিকভাবে তিনি নিজেকে আড়াল করতে চান। ড. ইউনূস একজন ধুরন্ধও বটে।
- সেই গ্রামের লোকজনের কাছেই তিনি আজ রক্তচোষা।
নোবেল পাওয়ার আগে 'জোবরা' গ্রামের নারী সোফিয়ার সঙ্গে বিদেশি এক সাংবাদিককে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একটি দোতলা ভবন দেখিয়ে ক্ষুদ্রঋণে সোফিয়ার জীবন বদলে গেছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি, যা ছিল একেবারেই অসত্য। জোবরা গ্রামের এমন অনেক অসত্য গল্পের ধারাবাহিকতায় নোবেল পুরস্কার জয় করেছিলেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের 'ওয়াশিংটইন পোস্ট'-এ প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে কথিত বিশ্বনেতাদের 'খোলা চিঠি'তে ড. ইউনূসকে সৎ ও অতি সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এক মহান ব্যক্তি বলে উপস্থাপন করা হয়। আর এর সূত্র ধরেই পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে তার সততা ও সাধারণ জীবনযাপনের আড়ালে আসল সত্যটি প্রকাশ করেন সাংবাদিক ও বিশ্লেষকরা।
ড. ইউনূসকে নিয়ে খোলা চিঠিতে উল্লেখিত বিষয়ে বেসরকারি টেলিভিশন টক-শোতে সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, 'উল্লেখিত চিঠিতে বলা হয় ‘ড. ইউনূস খুব সহজ-সরল জীবনযাপন করেন’। অথচ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই রয়েছে। এখন একজন ব্যক্তি পাঞ্জাবি পরলেই যদি কারো জীবন-যাপন সাধারণ হয়, তাহলে টাটা কোম্পানিও তো সহজ-সরল জীবনযাপন করে। আর ড. ইউনূস তো নিজের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ চেকের’ পাঞ্জাবি পরেন। এটাও তার আরেকটি কৌশল। নিজে পাঞ্জাবি পরে ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়িয়েছেন তিনি। আসলে বাহ্যিকভাবে তিনি নিজেকে আড়াল করতে চান। ড. ইউনূস একজন ধুরন্ধও বটে।’
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন ড. ইউনূস। পরবর্তীতে গ্রামীণের নাম ব্যবহার করেই গ্রামীণ টেলিকম. গ্রামীণফোন, গ্রামীণ স্বাস্থ্যসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থেই এসব প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আসা কোনো অর্থই তিনি জমা দিতেন না। মালিকানাও কাউকে দেননি তিনি। আর এটাই হচ্ছে তার সবচেয়ে বড় অপরাধ।'
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘ড. ইউনূসের খোলা চিঠি নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি এমন চিঠি দিয়েছেন। কেননা তিনি বাংলাদেশি সাংবাদিকের মুখোমুখি হতে চান না। তার কোনো মন্তব্য নিতে গেলে অনেক পথ পেরিয়ে বিদেশি সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তিনি কখনো ঢাকার সাংবাদিককে অ্যালাও করেন না। একজন প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি প্রাইভেসি ও প্রটোকলের আবরণে থাকেন তিনি।'
ড. ইউনূসের সততা নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক বলেন, চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামের নাম আজকের এই অবস্থানে এসেছেন ড. ইউনূস। কিন্তু জোবরা গ্রামেই এখন গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূসকে রক্ত চোষা নামে চেনেন মানুষ। তার প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি সাধারণ জনগণের জন্য উপকারের চেয়ে অপকারই করেছে বেশি।
তিনি আরও বলেন, নোবেল পাওয়ার পর বাংলাদেশের স্বার্থে নিজেকে কাজে লাগাননি ড. ইউনূস। কিন্তু এই দেশকে দিয়ে নিজের স্বার্থটা ঠিকই হাসিল করেছেন। বিভিন্ন মঞ্চে নিজেকে ‘গরিবের সেবক’ হিসেবে পরিচয় দিলেও কোনো প্রতিফলন নেই তার জীবনে। বরং গ্রামীণ ব্যাংকসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশে আরাম-আয়েশি জীবনযাপন করছেন।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, জোবরা গ্রামের মানুষের স্বাবলম্বী হওয়ার মিথ্যা গল্প দিয়ে যার উত্থান ও নোবেল জয়, সেই গ্রামের লোকজনের কাছেই তিনি আজ রক্তচোষা। যে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে গড়েছেন সাম্রাজ্য, তারাই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে। নিজ দেশের মানুষই আজ তাকে দেশের ও মানবতার শত্রু মনে করেন, যা কোনো নোবেলজয়ীর জীবনে ঘটেছে বলে জানা নেই।এটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় লজ্জা।