১৬ বছরে বিশ্ব পেলো ১০নোবেল জয়ী, আমেরিকা পেলো শুধু ইউনূসকে!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:১২, সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩, ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯
হিলারি ক্লিনটন ও ড. ইউনূস
হিলারি ক্লিনটন ও ড. ইউনূস

২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ড. ইউনূস। এরপর বিগত ১৬ বছরে সারাবিশ্বে ১০ জন ব্যাক্তি ও ৬ টি প্রতিষ্ঠান শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। যাদের কারও নামই তেমন একটা আলোচনায় আসে না। কিন্তু হিলারী ক্লিনটন, বিশ্বব্যাংক বা পশ্চিমা কূটনীতিকদের দহরম মহরম রয়েছে শুধু ড.ইউনূসের সাথেই। কারণটা কি শুধুই বন্ধুত্ব? না আরও বেশি কিছু?

২০০৯ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। অন্যদিকে ১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের নেতা ইয়াসির আরাফাতও শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন। কিন্তু নিজ দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় কখনোই পশ্চিমাদের সমর্থন পাননি। তাই কে কখন শন্তিতে কি কারণে নোবেল পাবেন সেই হিসেবটিও বেশ গোলমেলে।

তবে ড. ইউনূসের অবস্থান মোটেও গোলমেলে নয় বিশ্লেষকদের কাছে। ইউনূস বারবারই মার্কিন কূটনীতিকদের সুরে কথা বলেন। কখনো রাজনৈতিক দল গঠন করেন, কখনো বিশ্বব্যাংকের ঋণ আটকে রাখতে লবিং করেন। কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে একটি কথাও বলেন না গুরুত্বপূর্ন কোনো বিশ্ব ফোরামে।

কোন পরিকল্পনায় ব্যবহার হচ্ছেন ড, ইউনূস :

বিশ্লেষকরা বলেন, ড.ইউনূসকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিলো বাংলাদেশের রাজণৈতিক টালমাটাল সময়ে। ২০০৬ সালে যখন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আন্দোলন চলছে, এবং সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করবে এমন একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তখনই ড. ইউনূসকে নোবেল প্রাইজ দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিলো।

দেশে বিমান বন্দরে নেমেই তিনি কর্নফুলি নদীর মোহনা আমেরিকার হাতে তুলে দেয়ার আহবান জানিয়েছিলেন, যা ছিলো যুক্তরাষ্ট্রেরই দীর্ঘদিনের দাবি। যেটি শুনে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দুজনেই প্রমোদ গুনেছিলেন, কারণ তারা ক্ষমতায় থাকতে কখনোই এই দাবি মেনে নেননি।

এরপর সেনাসমর্থীত সরকার ক্ষমতায় আসলে ড. ইউনূস একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করেন। আশা ছিলো, দুই দলের কামড়াকামড়িতে বীতশ্রদ্ধ জনগন হয়তো ড. ইউনূসের নতুন দলকে গ্রহণ করে নিবে। কিন্তু বিএনপি বা আওয়ামী দূরে থাক, দেশের ছোট কোন রাজনৈতিক দলের ধারেকাছেও ভিড়তে পারেনি তার গঠিত রাজণৈতিক দলটি।

সমালোচকরা বলছেন, সারা বিশ্বে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে প্রতিটি দেশের সরকারকেই নানাভাবে চাপে রাখার জন্য নানান উপায় হাতে রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে ড. ইউনূস তেমনই একজন মার্কিন ঘুটি। তাই সরকারকে চাপে ফেলতে পদ্মাসেতুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি বারবার বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

তারা আরও বলছেন, শান্তিতে নোবেল পাওয়া দোষের নয়, রাজণীতি করাও দোষের নয়, কিন্তু শান্তিতে নোবেল পেয়ে মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে, সেই পরিচয়কে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার অবশ্যই দোষণীয়। আর এই কাজটি করা হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে। তাকে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলছে ক্রমাগত। আর এটিই হচ্ছে পশ্চিমাদের সঙ্গে ইউনূসের বন্ধুত্বের মূল কারণ।

Share This Article


চট্রগ্রাম মেডিকেলের অজ্ঞাত লাশকে শিক্ষার্থীদের লাশ বলে চালানোর চেষ্টা!

শিক্ষার্থীদের পাশে দেশবাসীকে দাঁড়ানোর আহবান ফখরুলের: পাশে দাঁড়িয়েছে কি বিএনপি?

ঢাকা কলেজের ছাত্রের প্রাণহানি, সারা দেশে নিন্দার ঝড়

শিবির-ছাত্রদলের নির্মমতা: চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ১৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে

আমরা সরকার পতন করেই ঘরে ফিরবো: গাজীপুর থেকে আগত শিবির কর্মী

কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ, শিক্ষকদের মারধর

প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্যের মর্মার্থ বিকৃত করলো কারা

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

ঢাবি ক্যাম্পাসে যেভাবে জড়ায় ছাত্রলীগ

'রাজাকার' পরিচয় দিতে একবারও লজ্জা হলো না তাদের