প্রাথমিকে ১৪৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেলেন বর্ষসেরা পদক
![প্রাথমিকে ১৪৭ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেলেন বর্ষসেরা পদক](/Uploads/Images/News/2023/3/Image-10761-20230312120050.webp)
প্রাথমিক শিক্ষায় বর্ষসেরা শিক্ষক, ছাত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাঠ কর্মকর্তা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি), জনপ্রতিনিধি ক্যাটাগরিতে ১৪৭ জনের হাতে বর্ষসেরা পুরস্কার ও সনদ তুলে দেয়া হয়েছে। গত দুই বছর স্থগিত থাকার পর আবারও প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের মাধ্যমে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হলো। রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
অনুষ্ঠানে ২০১৯ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে ২০১৯ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। একই বছরের জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ শিশুসহ ১১১ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়। ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন ও ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৪ শিশুসহ ১০৫ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেয়া হয়।
পদকপ্রাপ্তরা ২০১৩ এর পদক নীতিমালা অনুযায়ী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিশুদের যথাক্রমে ২০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকাসহ একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট দেয়া হয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের ২৫ হাজার টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজন বন্ধ ছিল। এর মাধ্যমে গত দুই বছরের দেশ সেরাদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের নানামূখী কর্মগ্রহণের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। মেয়েদের ভর্তির হার বেড়েছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পরিমাণও আগের চাইতে অনেক কমে গেছে। শিক্ষকদের বদলির দুশ্চিন্তা কমেছে। প্রাক-প্রাথমিক স্তর এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করে সেখানে আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়ার করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিড ডে মিলের মাধ্যমে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম আবারও শুরু করা হবে। এটি হবে পাঠ্যবইয়ের মতো প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি উপহার। এখানো যেসব স্থানে শিক্ষক শুন্য রয়েছে সেসব স্থানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সচিব বলেন, সরকার সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক নিয়োগ, অনলাইনে বদলি, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে দুই বছরে উন্নীতকরণ, নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, প্রাথমিকবৃত্তি প্রদানসহ প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধিকল্পে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আগামী দিনের সুনাগরিক গড়ে তুলতে শিশুদের শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে আজ (রোববার) থেকে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’।