যুগপৎ আন্দোলনে আস্থা নেই: আলাদা জোট গঠনের চেষ্টায় শরিকরা!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৪৩, রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩, ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে নেমেছে বিএনপি ও সমমনা ছোট রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের ইতিহাসে ক্ষমতার পালাবদলে ছোট দলগুলোর রাজনীতিতে কিছুটা প্রভাব রয়েছে। এমতবস্থায় দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ছোটদলগুলোকে পাশে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করতে চাইলেও বিএনপির ওপর তারা আস্থা রাখতে পারছে না বলে জানিয়েছে বিশ্বস্ত একটি সূত্র।

 

সূত্রমতে, বিএনপির সাথে অতীতে যেসব সমমনা ছোট দলগুলো ছিলো তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। চলমান আন্দোলনে কোনো আলোচনা বা পরামর্শ না করে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে তা চাপিয়ে দেয়া বা মেসেজে কর্মসূচি জানিয়ে দেয়া, জোট হিসেবে মূল্যায়ন না করা, দায়সারা কার্যক্রম চালানোর মতো বড় অভিযোগ উঠেছে । এছাড়া ছোট দলগুলোকে শুধুমাত্র ভোটের সময় ব্যবহার করা হয় বলেও জানান অনেক নেতা।

জানা যায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সমর্থনে তিন জোটে রয়েছে ৩০টি রাজনৈতিক দল। এরমধ্যে নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ সাতটি দল নিয়ে গঠন হয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিএনপিসহ বিশদলীয় জোট ভেঙে গঠন করেছে ১২ দলীয় জোট। আর জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট নামে একত্র হয়েছে ১১টি রাজনৈতিক দল।

বিএনপির সমমনা ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলন ঘোষিত হলেও  তার পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা বা সমন্বয় সাধনের জন্য কোনো কমিটি গঠিত হয়নি। ফলে যে যার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করেছে। কিন্তু ছোট দলগুলোর অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সে কারণে বেশিদূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বিএনপি এখন নতুন করে আবারো সকলকে জোটবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা আর তাদের সাথে জোটে না গিয়ে সমমনা ছোট দলগুলোকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটা সমঝোতায় আসা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

এই জোটের অন্যতম শরীক দলগুলোর কয়েকজন নেতা বলেছেন, বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে সমন্বয় সাধন করে কর্মসূচি পালনের মতো সাংগঠনিক বা অর্থনৈতিক অবস্থা আমাদের নেই। তাই আমরা ছোট দলগুলো নিয়ে জোট গঠন করার চেষ্টা করছি। এছাড়া বিএনপির সাথে নানান জটিলতা রয়েছে ছোট দলগুলোর। সঠিক মূল্যায়নের অভাব রয়েছে, এমতবস্থায় ছোট দলগুলোর সাথে তাদের দূরত্বও তৈরি হয়েছে। ফলে আলাদা জোট করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

সমালোচকরা বলছেন, সমমনা দলগুলোর ভোট ব্যাংকের প্রতি নজর থাকলেও দলগুলোকে মূল্যায়ন করছে না বিএনপি। এটি দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে দলগুলো। বিএনপির হাতের পুতুল হয়ে রাজনীতির মাঠে কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি তারা। দেরিতে হলেও এখন তাদের বোধোদয় হয়েছে, যা তাদের বিএনপির লেজুর বৃত্তি থেকে বেরিয়ে সাতন্ত্রবোধ তৈরিতে সহায়ক হবে।

Share This Article


চট্রগ্রাম মেডিকেলের অজ্ঞাত লাশকে শিক্ষার্থীদের লাশ বলে চালানোর চেষ্টা!

শিক্ষার্থীদের পাশে দেশবাসীকে দাঁড়ানোর আহবান ফখরুলের: পাশে দাঁড়িয়েছে কি বিএনপি?

ঢাকা কলেজের ছাত্রের প্রাণহানি, সারা দেশে নিন্দার ঝড়

শিবির-ছাত্রদলের নির্মমতা: চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ১৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে

আমরা সরকার পতন করেই ঘরে ফিরবো: গাজীপুর থেকে আগত শিবির কর্মী

কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ, শিক্ষকদের মারধর

প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্যের মর্মার্থ বিকৃত করলো কারা

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

ঢাবি ক্যাম্পাসে যেভাবে জড়ায় ছাত্রলীগ

'রাজাকার' পরিচয় দিতে একবারও লজ্জা হলো না তাদের