সরকারবিরোধী অনলাইন এক্টিভিস্টদের এক প্লাটফর্মে আনতে তারেকের নির্দেশ!
![সরকারবিরোধী অনলাইন এক্টিভিস্টদের এক প্লাটফর্মে আনতে তারেকের নির্দেশ!](/Uploads/Images/News/2023/3/Image-10709-20230311101431.webp)
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী অনলাইন এক্টিভিস্টদের এক প্লাটফর্মে আনতে কাজ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যারা সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় তাদের সবাইকে একটি প্লাটফর্মে আনতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এমনটাই জানিয়েছে বিএনপির বিশ্বস্ত একটি সূত্র।
সূত্রটি জনায়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে এসব অনলাইন এক্টিভিস্টদের দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চালানো হবে। যাতে করে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করা যায়। এমনকি এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বিশেষ একটি তহবিলও গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরকারবিরোধী কন্টেন্ট তৈরিতে দেয়া হবে মোটা অংকের অর্থ। আর এই লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে একটি বড় লিস্ট, যাদের মাঝে অন্যতম কনক সারোয়ার, ইলিয়াস, পিনাকী ভট্টাচার্য্য, তাসনিম খলীল ও জুলকার নাইন সায়ের, মেজর দেলোয়ার, কর্নেল শহীদ, মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
জানা যায়, এ লক্ষ্যে তারেক রহমান প্রয়োজনে নিজে তাদের সাথে সাক্ষাতে মিলিত হবার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অতি সম্প্রতি বর্তমান সরকার সমর্থক বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রী বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে কুখ্যাতি অর্জনকারী কানাডাভিত্তিক আইপি টিভি ‘নাগরিক টিভি’ কর্তৃপক্ষের সাথে তারেক রহমানের সাক্ষাতের বিষয়টি নাগরিক টিভি কর্তৃপক্ষ স্বীকারও করেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নাগরিক টিভির সিইও টিটো রহমান ও বার্তা প্রধান নাজমুস সাকিবের সাথে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে কাজ করার জন্য ‘নাগরিক টিভি ও তারেক রহমান’ এর মধ্যে একটি বড় অংকের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নাগরিক টিভি ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে নিয়মিত অপপ্রচার চালানোয় পারদর্শী অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথেও তিনি নিজে কথা বলবেন বলে জানায় একটি সূত্র। সকলকে এক কাতারে আনতে ‘ডোর টু ডোর’ নক করার নির্দেশ দেন তারেক রহমান।
এ বিষয়ে তারেক রহমানের ঘনিষ্ট এক বিএনপি নেতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এম আরাফাত বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কেউ যা খুশি তাই বলতে পারেন। এতে দোষেরও কিছু নেই। তাদের ব্যবহার করা সহজ। তবে যাদের কথা বলা হয়েছে তারা ইতোমধ্যে গুজব ছড়িয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। মানুষ তাদের বিশ্বাস করেনা। তাই বিষয়টি নিয়ে কেউই উদ্বিগ্ন নয়। বরং এতে বিএনপি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করছেন তিনি।