মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, দাম কমানোর উপায় খুঁজুন, ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী

পণ্যের দাম কমিয়ে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার উপায় খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীদের তিনি বলেছেন, দাম কমানোর পদক্ষেপ নিন, নইলে নিজেরা নিজেদের বাজার হারাবেন।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বাণিজ্যিক অবরোধ ও পাল্টা অবরোধ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশগুলোকে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। শুধু আমাদের মতো দেশ না উন্নত দেশগুলোও হিমসিম খাচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিসহ মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার পন্থা খুঁজে বের করতে হবে, সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে নিজেরা নিজেদের বাজার হারাবেন।
আরো পড়ুন: ১৪ বছরে দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা, এক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতা এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা বিদেশ থেকে এসেছেন বাংলাদেশকে আপনারা আপন দেশ হিসেবে মনে করবেন। নিজের দেশ মনে করে বিনিয়োগ করবেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে অভ্যন্তরীণ ও বিশাল আঞ্চলিক বাজারে প্রবেশের সুযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারে কেন্দ্রস্থল হতে পারে।
অনুষ্ঠানে দেশের কর্মক্ষম মানব সম্পদের কথাও তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে ৬৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ কর্মজীবী বয়সে অবস্থান করছেন। আমাদের রয়েছে সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য একটি তরুণ জনগোষ্ঠী। ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সে ১১ কোটি ৪০ লাখ নাগরিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যেকোনো বিনিয়োগে মূল্যবান অবদান রাখতে প্রস্তুত।
পরিকল্পিত শিল্প বিকাশে সারা দেশে অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ২০৩০ সালের মধ্যে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী অনলাইন শ্রমের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। আমরা ৩৮টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করছি। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এসব পার্ক উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।