জার্মান সরকারের ভেতরের কোন্দল সামলাতে বিশেষ বৈঠক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১২, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩, ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯

জার্মানির প্রথম তিন দলীয় জোট সরকার গঠনের সময়ে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস দেশের আধুনিকীকরণকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নিজের সরকারকে ‘অগ্রগতির জোট’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। একাধিক উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে সেই জোট উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ অনেক হিসেব গোলমাল করে দিয়েছে। সংকটের সময় প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি-নিরাপত্তার মতো বিষয় বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে। সেইসঙ্গে প্রবল চাপের মুখে শরিক দলগুলোর মধ্যে প্রকাশ্যে মনোমালিন্য বেড়ে গেছে। বিশেষ করে দুই ছোট শরিক—পরিবেশবাদী সবুজ দল ও উদারপন্থী এফডিপি দলের মন্ত্রীদের মধ্যে কলহ চ্যান্সেলরের জন্য প্রবল অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে।

 

এমনই প্রেক্ষাপটে বার্লিনের উপকণ্ঠে মেসেব্যার্গ কেল্লায় দুই দিনের জন্য মিলিত হচ্ছে শলৎসের মন্ত্রিসভা। রবিবার চ্যান্সেলর শলৎস দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এখনো সমাজ ও অর্থনীতির আধুনিকীকরণের বিষয়ে নিশ্চিত থাকার কথা বলেন। মন্ত্রিসভার এই বিশেষ বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি জলবায়ু নীতি ও ডিজিটাইজেশনের মতো বিষয় বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। চ্যান্সেলর বলেন, জার্মানি দ্রুত গতিতে অর্থনীতির আধুনিকীকরণ ঘটিয়ে কার্বনমুক্ত হয়ে উঠবে এবং বিশ্বব্যাপী সফলভাবে রপ্তানি চালিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে দেশের মানুষও ভালো বেতনের চাকরি করতে পারবেন।

জার্মান মন্ত্রিসভার এই বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। ইইউ দেশগুলোতে পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি পুরোপুরি বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেত্রে জার্মানির পরিবহণমন্ত্রীর আপত্তি যে সংকট সৃষ্টি করেছে, ‘গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে’ সেই জটিলতা কাটিয়ে তোলা সম্ভব হবে বলে ফন ডেয়ার লাইয়েন ও শলৎস আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, একের পর এক নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে সরকারের ছোট শরিক এফডিপি দল পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি পুরোপুরি বাতিল করার পরিকল্পনায় বাধা সৃষ্টি করছে।

গত বছর অক্টোবর মাসেই ইইউ পার্লামেন্ট ও সদস্য দেশগুলো ২০৩৫ সালের পর শুধু কার্বন নির্গমনহীন নতুন গাড়ি পথে নামানোর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। গত মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের কথা ছিল। জার্মানির এফডিপি দলের আপত্তির কারণে সেই প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটছে। এফডিপি ‘ই-ফুয়েল’ চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের দাবি করছে। ‘ই-ফুয়েল’ কার্বনমুক্ত হলেও সেই জ্বালানি উৎপাদন করতে অনেক বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়।

জার্মান চ্যান্সেলর নিজের জোট সরকারের মধ্যে এমন কোন্দল দূর করার বিষয়ে অন্তত প্রকাশ্যে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছেন। তার মতে, মৌলিক নীতির ক্ষেত্রে ঐকমত্যের কোনো অভাব নেই। খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য দূর করা সম্ভব হবে বলে শলৎস আশা প্রকাশ করেন। বাজেটের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন মন্ত্রীদের প্রত্যাশা নিয়ে টানাপড়েন দূর করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

Share This Article


যে কারণে পদার্থে নোবেল জিতলেন তিন বিজ্ঞানী

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণা আজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অনুমোদন পেলো ম্যালেরিয়ার নতুন টিকা

খাশোগি হত্যাকাণ্ড, পাঁচ বছরেও মেলেনি ন্যায়বিচার

বাংলাদেশে বিশেষ কোনো দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র: মিলার

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট

মেক্সিকোতে গির্জার ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ১০

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ২ করোনা টিকা গবেষক

পরমাণু সাবমেরিনে ৪৬০ কোটি ইউরো ঢালছে যুক্তরাজ্য

তুরস্কের রাজধানীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ

যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ‘সত্যিকারের মিথ্যার সাম্রাজ্য’: চীন

প্রথম কোনো নারী মহাসচিব পেতে পারে জাতিসংঘ