সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ ও জড়িত থাকায় আস্থা হারান তারেক

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০৫, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩, ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯


বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসাবে বনানীর হাওয়া ভবনে বসে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা শুরু করেন। হাওয়া ভবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল নগরীর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক। ওই সময়ে তার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আজও মানুষ ভোলেনি।

 

আসুন জেনে নেই তারেকের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খতিয়ান  :

২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা:

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায়  ২২ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়। ওই হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি থেকে তারেকের জড়িত থাকার প্রমাণ বেরিয়ে এসেছে। মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে উঠে আসে তারেকের নির্দেশেই  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বিএনপি সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসা থেকে নেওয়া ১৫টি গ্রেনেড দিয়ে ওই দিন বিরোধী দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের জনসভায় হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে হাওয়া ভবনে একাধিকবার বৈঠকও হয়। গ্রেনেড হামলা মামলায় লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানকে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছেন আদালত।

সিরিজ বোমা হামলা:  ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সারাদেশে একযোগে ৬৩ জেলার ৪৩৪ স্থানে বোমার বিম্ফোরণ ঘটায়। ওইদিনের ঘটনায় দু’জন নিহত এবং অর্ধশত আহত হন। পরবর্তী সময়ে জেএমবির আরো কয়েকটি বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হন।

জেএমবির এসব হামলা মূলত তারেক ও বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ মদদেই হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করায় অনেক ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রকাশ্যে এ কাজে সহযোগীতা করেছিল। হামলার পূর্বে জেএমবির প্রধান কুখ্যাত বাংলা ভাই ও শায়খ আবদুর রহমানের সাথে হাওয়া ভবনে বৈঠক করার তথ্যও প্রকাশ পায়।

দশ ট্রাক অস্ত্রের চালান: ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিইউএফএল জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে অস্ত্র খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ আটক করে। পরে তা '১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার'  শিরোনামে সকল গনমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তবে অনুসন্ধানে তারেকের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় এবং লুৎফুজ্জামান বাবরের প্রত্যক্ষ সহায়তায় এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী উলফার জন্য আনা হয়েছিল বলে তথ্য প্রকাশ পায়। 

২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের একটি আদালতে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় হয়। তাতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং উলফার সামরিক শাখার কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ মোট ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের ঘটনায় খোদ উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া গণমাধ্যমে বলেছেন, বিএনপি সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়াতেই এই অস্ত্রের চালান বাংলাদেশে এসেছিল। সরকার না চাইলে অস্ত্র কখনোই বাংলাদেশে ঢুকতো না। এখানে সরাসরি তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সমালোচকরা বলছেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজের আখের গোছানোই মূল লক্ষ্য ছিল তারেকের। এসব কারণে ক্ষমতা হারানোর ১৫ বছর পরেও বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ। দিন দিন এ অনাস্থা আরও বাড়ছে বলেও জানান তারা।

Share This Article


চট্রগ্রাম মেডিকেলের অজ্ঞাত লাশকে শিক্ষার্থীদের লাশ বলে চালানোর চেষ্টা!

শিক্ষার্থীদের পাশে দেশবাসীকে দাঁড়ানোর আহবান ফখরুলের: পাশে দাঁড়িয়েছে কি বিএনপি?

ঢাকা কলেজের ছাত্রের প্রাণহানি, সারা দেশে নিন্দার ঝড়

শিবির-ছাত্রদলের নির্মমতা: চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ১৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে

আমরা সরকার পতন করেই ঘরে ফিরবো: গাজীপুর থেকে আগত শিবির কর্মী

কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ, শিক্ষকদের মারধর

প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্যের মর্মার্থ বিকৃত করলো কারা

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

ঢাবি ক্যাম্পাসে যেভাবে জড়ায় ছাত্রলীগ

'রাজাকার' পরিচয় দিতে একবারও লজ্জা হলো না তাদের