এরদোয়ানকে কি সরাতে পারবেন কিলিকদারোগ্লু?

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০২, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩, ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯

তুরস্কে রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলেন কামাল কিলিকদারোগ্লু। আগামী মে মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারার মতো একজন জবরদস্ত প্রার্থী খুঁজছিলেন বিরোধীরা। অবশেষে তারা সেই প্রার্থী খুঁজে পেলেন। রিপাবলিকান পিপলস পর্টির নেতা কিলিকদারোগ্লু হবেন তাদের সম্মিলিত প্রার্থী, যিনি আগামী ১৪ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানকে টক্কর দেবেন। প্রায় ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন এরদোয়ান। তাকে কি সরাতে পারবেন কিলিকদারোগ্লু?

 

বর্ষসেরা আমলা


কিলিকদারোগ্লুর জন্ম ১৯৪৮ সালে। বাবা একজন সরকারি চাকুরে ছিলেন। সাত সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তিনিই পরিবারের একমাত্র সদস্য, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়েছেন। আংকারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ইকোনমিকস ও ফিন্যান্স নিয়ে পড়েন। তারপরই ১৯৭১ সালে তিনি তুরস্কের অর্থ ও রাজস্ব মন্ত্রণালয়ের পরামর্শদাতা হিসেবে যোগ দেন।

১৯৯২ সালে তিনি সোশ্যাল সিকিউরিটি অথরিটির (এসএসএ) পরিচালক হন। দুই বছর পর একটি পত্রিকার বিচারে তিনি বর্ষসেরা আমলা নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে তিনি অবসর নেন।

কিলিকদারোগ্লু সৎ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত। আমলা হিসেবে যত দিন কাজ করেছেন, তত দিন দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিয়েছেন।


২০০২ সালে তিনি সিএইচপি পার্টির প্রার্থী হয়ে পার্লামেন্টের নির্বাচনে জেতেন। একই বছরে এরদোয়ান ক্ষমতায় আসেন। ২০০৭ সালে তিনি ডেপুটি স্পিকার হন। সে সময় তিনি তুরস্কে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করেন। ফলে গণমাধ্যমে রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন কিলিকদারোগ্লু।

২০১০ সালে সিএইচপি পার্টির তৎকালীন নেতার নাম যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে। কিলিকদারোগ্লু নেতা নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৭ সালে মার্চ ফর জাস্টিসে অংশ নেন এবং সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন।

‘আমি হতাশ হই না’

দেশের ত্রয়োদশ বা ১৩ নম্বর প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়বেন কিলিকদারোগ্লু। তাকে ‘তুরস্কের গান্ধী’ বা ‘গান্ধী কামাল’ বলেও ডাকা হয়। তার স্ত্রী সেলভা বলেছেন, তিনি এতটাই শান্ত থাকেন যে কখনো চিৎকার করেন না। নিজের যুক্তিতর্ক একেবারে শান্তভাবে দেন।

তাকে অনেকবার হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। ২০১৯ সালে আংকারায় তাকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা হয়। তার এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ‘আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা তার বাড়ি গেলাম। তিনি দরজা খুললেন। তার মুখে ও দেহে ক্ষতচিহ্ন। তিনি আমাদের বসার ঘরে নিয়ে বসালেন। বললেন, শান্ত থাকুন। এই আক্রমণ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। আমরা তার থেকে অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলাম।’

কুর্দদের সংগঠন পিকেকে তার ওপর সশস্ত্র হামলা করেছিল, পার্লামেন্ট আক্রমণ ও মার্চ ফর জাস্টিসের ওপর বোমা হামলা থেকেও তিনি বেঁচে যান।

তিনিই কি সেরা প্রার্থী?


কিলিকদারোগ্লুর এত ইতিবাচক দিক থাকা সত্ত্বেও তুরস্কের জনগণের একটা অংশ মনে করে, তিনি এরদোয়ানের সমকক্ষ প্রার্থী নন। তার সেই কারিশমা নেই।

কিলিকদারোগ্লু ছয় বিরোধী দলের প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু তাকে প্রার্থী করা নিয়েও এই ছয় দলের মধ্যে দ্বিধা ছিল। গত এক বছর ধরে এই ছয় বিরোধী দল একজোট হয়েছে। বহুবার তারা বৈঠকে বসেছে প্রার্থী ঠিক করার জন্য। এমনকি তাকে প্রার্থী করা হলে ন্যাশনাল গুড পার্টি জোট ছেড়ে যাবে বলেও হুমকি দিয়েছিল।

তারপর অনেক আলোচনার পর বিরোধ মিটেছে। এখন কিলিকদারোগ্লু বিরোধী প্রার্থী। এরদোয়ানকে তিনি হারাতে পারবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

Share This Article


পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণা আজ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অনুমোদন পেলো ম্যালেরিয়ার নতুন টিকা

খাশোগি হত্যাকাণ্ড, পাঁচ বছরেও মেলেনি ন্যায়বিচার

বাংলাদেশে বিশেষ কোনো দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র: মিলার

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট

মেক্সিকোতে গির্জার ছাদ ধসে নিহত বেড়ে ১০

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন ২ করোনা টিকা গবেষক

পরমাণু সাবমেরিনে ৪৬০ কোটি ইউরো ঢালছে যুক্তরাজ্য

তুরস্কের রাজধানীতে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ

যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ‘সত্যিকারের মিথ্যার সাম্রাজ্য’: চীন

প্রথম কোনো নারী মহাসচিব পেতে পারে জাতিসংঘ

ভারতে পর্যটকবাহী বাস খাদে, প্রাণ গেল ৮ জনের