প্রতিটি সন্তানকে সোনার মানুষে পরিণত করতে চাই : পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যমআয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিংড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'বাংলাদেশের মূল আর্কিটেকট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের নেতৃত্বে ভবিষৎ প্রজন্মের সন্তানদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে সারাদেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছি। সাড়ে ৮ হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পৌরসভা ডিজিটাল সেন্টার, সিটি করপোরেশন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ১৬ হাজার ছেলে-মেয়ে সরকারের দুই হাজার রকম সেবা প্রতিমাসে ১ কোটি মানুষকে প্রদান করছে।'
তিনি আরো বলেন, 'নতুন করে সিংড়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৫ হাজার ছেলে-মেয়ে বিদেশ যেতে পারবেন। এ ছাড়া ৬টি ট্রেডে প্রতিবছর ১২ শিক্ষার্থী দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে।'
'১৪ বছরে সিংড়ার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সাড়ে তিন শ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে' জানিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, '৩৭ বছর ৩০ শতাংশ ঘরেও বিদ্যুৎ ছিল না। গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা সিংড়ায় শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন। জননেত্রী আমাদের এক শ প্রাইমারি স্কুল সরকারিকরণ করে দিয়েছেন। আমাদের শেরকোলের মাটিতে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস কলেজ সরকারিকরণ করে দিয়েছেন। সিংড়ার ছেলে-মেয়েদের আগে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজশাহী, বগুড়া, ঢাকা যেতে হতো। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সিংড়ায় তিনটি কলেজ অনার্স কলেজে উন্নতি করেছেন। যার ফলে আমাদের সন্তানরা সিংড়ায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।'
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের প্রতিটি সন্তানকে সোনার মানুষে পরিণত করতে চাই। আমাদের সিংড়ার ৫ লক্ষ জনগণের জন্য জননেত্রী একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি কলেজ মিলে ৩৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগামী ৫/১০ বছরের মধ্য ৮৫ হাজার ছেলে-মেয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করবে। এই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে শুধু শিক্ষিতরাই নয় স্বল্প শিক্ষিতরা এ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করতে পারবে। অনেক ছেলে-মেয়েরা ড্রাইভিং শিখে বিদেশে গিয়ে একজন এমপি বা মন্ত্রীর চেয়ে বেশি বেতন উপার্জন করছে। আমাদের সেই সুযোগটা করে দিতে হবে।'
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এনডিসির মহাপরিচালক শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন- জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুন, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, নাটোর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব প্রমুখ।