খালেদা জিয়ার সাজা কমানোর আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে, যা বললেন আইনমন্ত্রী

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩৫, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩, ২৪ ফাল্গুন ১৪২৯

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়া ও মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। আবেদনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

 

সোমবার (৬ মার্চ) খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সপ্তমবারের মতো সাজা কমানোর এই আবেদন করেন।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের স্ক্রলে নাকি আসছে- খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পারমিশন দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি পরিষ্কার বলতে চাই- আমি জানতে পেরেছি- বেগম খালেদা জিয়ার শর্তযুক্ত মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আমার কাছে এখনো আসেনি। আমাদের মতামত দেয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে যে তথ্য দেয়া হচ্ছে তা মিথ্যা ও অসত্য।’


তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন অভিমত দেয়া ছাড়াই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে ফাইলটি পাঠানো হয়েছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের আটটি দেশের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা যেসব ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন সেগুলো মধ্যে একটি হলো- বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে কোন আপত্তি নেই সেটা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। এটা এখন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কতজনকে আনবে, কতজনকে আনবে না। আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে কোন আপত্তি করবে না।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ চলতি মাসের ২৪ তারিখ শেষ হবে। এর আগে গত রোববার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, পরিবারের আবেদন পেলে তারা তা বিবেচনা করবেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে দুই শর্তে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দুটি শর্তের মধ্যে ছিল খালেদা জিয়াকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এরপর ছয় বার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২৪ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

Share This Article


মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দেড় বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে জাপান

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে সর্বোচ্চ পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশে সব ধর্মের নাগরিকের অধিকার সমান: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

খুনিদের আড্ডাখানা হয়ে উঠেছে কানাডা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারব, দলে সাহসী ক্যাপ্টেন আছে: কাদের

ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে চলমান অগ্রযাত্রায় শামিল হতে হবে: রাষ্ট্রপতি

নির্বাচনি পর্যবেক্ষক কারা আসবে না আসবে সেটা ভাবার বিষয় নয়: ওবায়দুল কাদের

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

ভিসানীতির প্রভাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পড়বে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অবশেষে কমলো চিনির দাম

বৃহস্পতিবার থেকে ৩ দিনের ছুটিতে সরকারি চাকরিজীবীরা