বিএনপির ২৭ দফায় ‘রাষ্ট্র মেরামত’ আদৌ সম্ভব!
![বিএনপির ২৭ দফায় ‘রাষ্ট্র মেরামত’ আদৌ সম্ভব!](/Uploads/Images/News/2023/3/Image-10566-20230307094609.webp)
রেইনবো নেশন করে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি বন্ধ করবে। এর জবাবে তিনি বলেন, '২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস এই বিএনপির হাতেই ঘটেছিল।' বিএনপি ক্ষমতায় এলে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। ঘোষিত রূপরেখার তৃতীয় দফার এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জয় বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন, শিশু আর উন্মাদ ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এই উক্তি দিয়েই দলটির অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়।
২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ঘোষণা করে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি।শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা,যা অব্যাহত রয়েছে এখনও।
গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক ফেসবুক ভিডিও পোস্টে বিএনপির ওই ২৭ দফাকে ‘তথাকথিত রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা' বলে মন্তব্য করে তার সঙ্গে বিএনপি শাসনামলের বিভিন্ন কার্যকলাপের বর্ণনা দেন।
তিনি বলেন, বিএনপি বলছে তারা ক্ষমতায় এলে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করবে। অথচ দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সবার আগে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ দিয়েছিল। রাজাকারদের ক্ষমা করে রাজনীতি করারও সুযোগ দিয়েছিল জিয়া। সংবিধান ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরও দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।
দলটির দ্বিতীয় দফায় বলা হয়, 'রেইনবো নেশন' করে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি বন্ধ করবে। এর জবাবে তিনি বলেন, '২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস এই বিএনপির হাতেই ঘটেছিল।'
বিএনপি ক্ষমতায় এলে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। ঘোষিত রূপরেখার তৃতীয় দফার এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জয় বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন, শিশু আর উন্মাদ ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এই উক্তি দিয়েই দলটির অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০৪ সালে চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে দলটি বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’
রূপরেখার ১৩ দফায় বিএনপি বলছে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। এ বিষয়ে ভিডিওতে তিনি বলেন, 'দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান। যে দলের দুই প্রধান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত, তারা কীভাবে দুর্নীতি দূর করবে?’
নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে, ১৬ নম্বর দফার এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জয় বলেন, 'বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের পক্ষে ঘোষিত ২৭ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্র মেরামত’কতটা সম্ভব প্রশ্ন রাখেন সজীব ওয়াজেদ জয়।