ইংল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। এবার মিশন হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। সে লক্ষ্যে ইংল্যান্ডকে ২৪৭ রানের টার্গেট দিয়েছে তামিম ইকবালের দল। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
এ ম্যাচে তাসকিন আহমেদের জায়গায় এবাদত হোসেন, এই একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে টাইগাররা। ইংলিশদের হয়ে অভিষেক হয় রেহান আহমেদের। এই লেগস্পিনারের সঙ্গে একাদশে ফেরেন জোফরা আর্চার ও ক্রিস ওকস। ফলে জায়গা ছেড়ে দিতে হয় মার্ক উড, সাকিব মাহমুদ ও উইল জ্যাকসকে। ১৮ বছর ২০৫ দিনে ওয়ানডে অভিষিক্ত হয়ে ইতিহাস গড়েন রেহান আহমেদ। ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে নাম লেখান তিনি।
রেহান ভাঙছেন বেন হোলিওকের রেকর্ড। ১৯৯৭ সালে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকের সময় হোলিওকের বয়স ছিল ১৯ বছর ১৯৫ দিন। গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের রেকর্ডও গড়েছিলেন তিনি। সে সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর ১২৬ দিন।
প্রথম ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডের পর এই ম্যাচেরও শূন্য রানে আউট হন লিটন দাস। পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন তামিমও (১১)। লেগ সাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং-এজডে পয়েন্টে জেমস ভিন্সের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দলীয় ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ইনিংস পুনর্গঠনে লড়াই করেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। সিরিজে এবং ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন শান্ত। জুটিটা জমেছিল বেশ, কিন্তু ৭১ বলে ৫৩ রান করে রানআউট হন শান্ত। এতে ভাঙে দুজনের ৯৮ রানের জুটি।
শান্ত সাজঘরে ফেরার দুই বল পর অর্ধশতক পান মুশফিক। ওয়ানডেতে এটি তার ৪৩তম অর্ধশতক। সাত ইনিংস পর ওয়ানডেতে অর্ধশতকের দেখা পেলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সুইপের চেষ্টা করতে গিয়ে লেগস্পিনার আদিল রশিদের গুগলিতে বোল্ড হন তিনি। ৯৩ বলে ৭০ রানে থামতে হয় মুশফিককে। ভাঙে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি।
ক্রিজে এসে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহকেও বোল্ড করলেন রশিদ (৮)। ১০ রান ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওয়ানডের পর তৃতীয় ম্যাচেও অর্ধশতক করেন সাকিব আল হাসান। ৫৫ বলে সিরিজে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৩ বাউন্ডারিতে সাজান ক্যারিয়ারের ৫২তম অর্ধশতকটি। এরপরই আউট হয়ে যান আফিফ হোসেন (১৫)।
অভিষেকে বোলিংয়ের শেষ ওভারে শেষ বলে উইকেটের দেখা পান রেহান আহমেদ। ডানহাতি এই লেগস্পিনারের গুগলিতে পরাস্ত হয়ে রেহানকে ফিরতি ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৫)। আর জোফরা আর্চারের শিকান হন তাইজুল ইসলাম (২)। ৭১ বলে ৭৫ রান করে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন সাকিব।