আলোচনায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:২৫, সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩, ২১ ফাল্গুন ১৪২৯

একটি বড় রাজনৌতিক দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে না এলে কিছুটা অপূর্ণতা থেকে যাবে। কিন্তু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এমন কথা ধোপে টিকবে না। এক্ষেত্রে বড় রাজনৌতিক দল হিসেবে বিএনপিরও দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা রয়েছে। একতরফাভাবে নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি দেশের জন্য তো বটেই বিএনপির জন্যও মঙ্গলজনক নয়।

 

 

ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ, যার মাধ্যমে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক নির্দিষ্ট মেয়াদে সরকার পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধি বাছাই করেন। দেশের সংবিধান সব নাগরিকের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।

তবে গত কয়েক বছর ধরে রাজনীতির মাঠে একটি শব্দ চাউর হচ্ছে তা হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এমন মতামত ব্যক্ত করেছেন কেউ কেউ। তবে এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বটে, তবে দেশের সবচেয়ে বড় দল নয়। শাসন ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগ নিজেও একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। এছাড়া সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে জাতীয় পার্টি, মাঠে রয়েছে জামায়াতসহ আরও অনেক ছোট বড় দল। 

সূত্রমতে দেশের ছোট বড় অধিকাংশ দলই বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি এমনকি জামায়াতও ভিন্ন ব্যানারে বা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জানা গেছে, বগুড়াসহ সারা দেশের ১২০ আসনে নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী। ২৫০ আসনে নির্বাচনের জন্য প্রার্থীতা চূড়ান্ত করেছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। এছাড়া হাতপাখা প্রতীকে প্রায় ৩০০ আসনেই প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ।

এর বাইরে গণফোরাম, এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, গণতন্ত্রী পার্টি,  খেলাফত আন্দোলন, জাকের পার্টি, খেলাফতে মজলিস, তরিকত ফেডারেশন, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও সাম্যবাদী দলও নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। অর্থাৎ বিএনপি ছাড়া সবাই এখন নির্বাচনমুখী।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এমন কথার ভিত্তি নেই। কর্মী বা জনসমর্থনের ভিত্তিতে বড় বা ছোট দল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও কথাটির আইনি কোনো ভিত্তি নেই। নিবন্ধিত অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে এলেই সেটি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে। 

তবে একটি বড় রাজনৌতিক দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে না এলে কিছুটা অপূর্ণতা থেকে যাবে। কিন্তু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না এমন কথা ধোপে টিকবে না। এক্ষেত্রে বড় রাজনৌতিক দল হিসেবে বিএনপিরও দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতা রয়েছে। একতরফাভাবে নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি দেশের জন্য তো বটেই বিএনপির জন্যও মঙ্গলজনক নয়।

উল্লেখ্য, সরকার মাঠের বিরোধী দল বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে আন্তরিক বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নির্বাচন কমিশনও বিএনপিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছিল। তবে ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি।

সমালোচকরা বলছেন, ইসির আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা বিএনপির জন্য সঠিক হয়নি। আলোচনা বা সংলাপের পথ বন্ধ করে নির্বাচন বর্জন বা বানচালের হুমকি ধামকি বিএনপির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে বিএনপি নির্বাচনকে এড়িয়ে ২০১৩/১৪ সালের সেই ভুল পথেই পা বাড়াচ্ছে।

বিষয়ঃ ভোট

Share This Article


ভোটকেন্দ্র ফাঁকা দেখাতে বিএনপি-জামায়াতের বিশেষ মিশন

১০ ডিসেম্বর: একই দিনে সমাবেশ হলেও পাল্টাপাল্টি নয়!

শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাতেই আস্থা বলে যুক্তরাষ্ট্রকে জানালো ভারত

বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় চলছে বিএনপির অবরোধ

যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে নির্বাচন পর্যন্তই অপেক্ষা করতে চায় বিএনপি!

বিএনএম-এ যোগ দিচ্ছেন বিএনপির আরো ১৭ সাবেক এমপি!

যে তিন শর্তে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী ছিল বিএনপি!

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের একই চাওয়া!

ঢাকায় যাত্রীবেশে ২৭ মিনিটে তিন বাসে আগুন

দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ঝাড়ার মোক্ষম সময় কাজে লাগাচ্ছেন বিএনপি নেতারা!

হরতাল-অবরোধ ব্যর্থ, তবু হঠাৎ প্রাণ চাঞ্চল্য বিএনপিতে!

শওকত মাহমুদও আওয়ামী লীগে!