ভিন্ন দেশ ও জাতি-গোষ্ঠীর মাঝে আলোড়ন তুলেছে ৭ই মার্চের ভাষণ!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৫৭, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩, ২২ ফাল্গুন ১৪২৯

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্যেশ্যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে তাঁর এই ভাষণ জাতিকে অনুপ্রাণিত করে স্বাধীনতার জন্য। এই ভাষনে এতটাই শক্তিশালী উপাদান ছিল যে তার সেই জ্বালাময়ী ভাষণে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত হয়েই বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। পরবর্তীতে এটি একাধিক ভাষায়  অনূদিত হয় এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করে।

বঙ্গবন্ধুর এমন কালজয়ী ভাষণ প্রদান এবং তা একটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় বিশ্ব খ্যাত ম্যাগাজিন 'নিউজউইক'  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কতৃক 'বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য' হিসেবেও বিবেচিত হয়।

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে  Poet of Politics (রাজনীতির কবি) গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে ২০১৩ সালের ৭ মার্চ, যা বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, রাশিয়ান, আরবি, ফ্রেঞ্চ, চাইনিজ, ইতালিয়ান, জাপানিজ, স্প্যানিশ, পার্সিয়ান, কোরিয়ান এবং উর্দু-  এই ১২ ভাষায় অনূবাদ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জি. মাওলা। এছাড়া আরও অর্ধ শতাধিক ভাষায়  বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি অনূদিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে  ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ২২ ভাষায়ও অনুবাদ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।বঙ্গবন্ধু ব্যতিত  এতগুলো জাতি-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় কোনো রাজনীতিবিদের  ভাষণের অনুবাদ ইতিপূর্বে তেমন একটা হয়নি বললেই চলে।

‘আজি নুংসি নুপাং মনহান্ন আপনাগাছির মুঙে আহিলু। আপনাগাছি হাবিয়ৌ হারপারাইতা বারো বুঝরাইতা।’ এ দুটি বাক্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরিদের ভাষায় লেখা। যার বাংলা অর্থ হচ্ছে ‘আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন, সবই বোঝেন।’  

আন্তর্জাতিক সংগঠন সামার ইনস্টিটিউট অব লিঙ্গুইস্টিকস (সিল) যে ২২টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনুবাদ করেছে, সেগুলো হলো বম, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, চাকমা, গারো, হাজং, খাসি, খিয়াং, কোচ, কোল, লুসাই, মাহালে, মেইতে মণিপুরি, ম্রো, মুন্ডা, ওঁরাও কুরুখ, ওঁরাও সাদ্রি, পাহাড়ি, পাংখোয়া, সাঁওতাল, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা ও কোডা। সংখ্যায় বেশি বা পরিচিত চাকমা, গারো, সাঁওতাল ভাষার পাশাপাশি সংখ্যা একেবারে কম পাংখোয় এবং কোডাদের ভাষায় এ ভাষণ অনুদিত হয়েছে।

২২ ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রকাশের কারণ প্রসঙ্গে সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর কর্নেলিয়াস টুডু বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ আমাদের কাছে গর্ব আর সাহসের দলিল। বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষ নিজেদের ভাষায় এসব সাহসী উচ্চারণ করবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। দ্বিতীয় বিষয় হলো, এসব মানুষ তাদের নিজের ভাষার ‍গুরুত্ব খুঁজে পাবে। তারাও যে জাতীয় উন্নয়ন ও ঐতিহ্যের, এটা ভেবে তারা গর্ব অনুভব করবে।’

এ উদ্যোগকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যে কাজ করা উচিত ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই, তা করা হলো স্বাধীনতার ৫০ বছর পর। কিন্তু যত দেরিই হোক, এর মাধ্যমে দেশের বাংলাভাষী নন এমন জাতির মানুষের কাছে আমাদের দায় কিছুটা হলেও শোধ হলো।’

Share This Article


তলে তলে সবার সঙ্গে আপস হয়েছে যথাসময় নির্বাচন

রাতে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পোশাক শিল্প জোরালো ভূমিকা রাখবে: শিক্ষামন্ত্রী

দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

ডিজিটাল সংযুক্তি দেশের টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: স্পিকার

এজেন্ডা বাস্তবায়নে নির্বাচনকেই কেন টার্গেট করলো যুক্তরাষ্ট্র

দুই আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর ঘিরে রূপপুরে উৎসবের আমেজ

বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: ওবায়দুল কাদের

প্রশাসনের চোখ তফসিলে

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার লন্ডন ত্যাগ করবেন

ভিসা নীতি নিয়ে সবই অতিরঞ্জিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী