কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যে হতাশা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫০, শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩, ১৯ ফাল্গুন ১৪২৯
বিএনপির লোগো -ফাইল ছবি
বিএনপির লোগো -ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার পতনসহ গেল বছরের আগস্ট থেকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে বিরোধী দল বিএনপি। নেতা-কর্মীদের মাঝে উদ্দীপনা দেখা গেলেও আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃস্টি হলে মাঠপর্যায়ের কর্মীরা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, গত বছর নয়াপল্টনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর এক দফার কর্মসূচি আসবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এক দফা থেকে সরে গিয়ে দলের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করা হলো। তৃণমূল নেতাকর্মী এবং দেশের জনগণও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।

আন্দোলনের ধীরগতির বিষয়ে দলটির আরেক নেতা বলেন, সরকার পতনে দ্রুত একদফার আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে ছিলো সরকারবিরোধী দলগুলো। কিন্তু বিএনপির হাইকমান্ডের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এবং দলটির কিছু দায়িত্বশীল নেতার দায়িত্বহীন বক্তব্যে সব ভেস্তে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেন, দায়িত্বশীল কিছু নেতার দায়িত্বহীন বক্তব্যে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে  খালেদা জিয়ার কথায়, দেশে আসছেন তারেক রহমান, সমাবেশে যোগ দেবেন খালেদা জিয়া। নেতাদের এমন দায়িত্বহীন বক্তব্যে দলে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।ফলে  আশানুরূপ মিলছে না জনগণের সাড়া।

এ বিষয়ে  নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, জনগণ অনেক সময় আবেগ নিয়ে অনেক কথা বলে। কিন্তু রাজনীতিতে আবেগের জায়গা নেই। রাজনীতিতে সময় বেঁধে সরকারের পতন ঘটানো যায় না; বরং পরিস্থিতি বলে দেয় কখন কীভাবে এগোতে হবে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।

কিন্তু মহাসচিবের এমন বক্তব্যে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব বিভক্তি আর দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ছে তৃণমূলে। যার ফলে আন্দোলনে এখনও বড় কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি দলটি।

সমালোচকরা বলছেন, মূলত আন্দোলন ও নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে বিএনপি। সে কারণেই একদফার আন্দোলন কখনও হয়ে যাচ্ছে ১০ দফার আন্দোলন। জোট গঠন করে তা আবার ভেঙে দেয়া হচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও রয়েছে রহস্য। এখন চলছে যুগপৎ কর্মসূচি। ফলে শুধু বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরাই নয় দলটির আন্দোলন কর্মসূচিতে আস্থা হারিয়েছেন সাধারণ মানুষও।
 

Share This Article


চট্রগ্রাম মেডিকেলের অজ্ঞাত লাশকে শিক্ষার্থীদের লাশ বলে চালানোর চেষ্টা!

শিক্ষার্থীদের পাশে দেশবাসীকে দাঁড়ানোর আহবান ফখরুলের: পাশে দাঁড়িয়েছে কি বিএনপি?

ঢাকা কলেজের ছাত্রের প্রাণহানি, সারা দেশে নিন্দার ঝড়

শিবির-ছাত্রদলের নির্মমতা: চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ১৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে

আমরা সরকার পতন করেই ঘরে ফিরবো: গাজীপুর থেকে আগত শিবির কর্মী

কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ, শিক্ষকদের মারধর

প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্যের মর্মার্থ বিকৃত করলো কারা

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

ঢাবি ক্যাম্পাসে যেভাবে জড়ায় ছাত্রলীগ

'রাজাকার' পরিচয় দিতে একবারও লজ্জা হলো না তাদের