যেকারণে নির্বাচনে অনীহা বিএনপির
- আন্দোলন কর্মসূচির আড়ালে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড।
- সহিংসমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন।
- জনবিচ্ছিন্ন।
'তত্ত্বাবধায়কসরকার' ছাড়া আর নির্বাচনে নাযাওয়ার ঘোষণা দিয়ে গত বছরের আগস্টথেকে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে দীর্ঘ ১৪ বছরেরও বেশিসময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ।আন্দোলন কর্মসূচির আড়ালে দলটি বরাবরই নাশকতা, সহিংসতা, জনভোগান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনমনে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করেছে।
তবেআবারও রাজনীতির মাঠে নিজেদের অবস্থান ফিরে পেতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। কিন্তু চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে আশানুরূপ জনসম্পৃক্ততা না ঘটায় নির্বাচনের মাঠে যেতে সাহস পাচ্ছেন না বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, বিএনপি বহু বছর ধরে নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে। বারবার আহ্বান জানানোর পরও ভোটের মাঠে আসেনি তারা। বরং ক্ষমতা দখলে নেয়ার জন্য আন্দোলনের নামে সহিংসমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করছে। ফলে একবারেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দলটি। নীরব কর্মসূচি চালিয়েও জনগণের সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা।তাই কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার পর যদি ভোটেহেরে যান, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এ কারণে দলেরঅনেক নেতাই নির্বাচনে আসতে চান না।
তবেনির্বাচনে অংশ না নিলেও আসছেজাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও সহিংস আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছে দলটি। গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেকেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এরপরে সারা দেশে পদযাত্রার আড়ালে দলটির নেতাকর্মীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে সংঘর্ষে জড়াতেও দেখা গেছে। একাধিক জেলায় দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে।
এছাড়া, নেতৃত্ব সংকটও ভোগাচ্ছে বিএনপিকে। যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া নির্বাচনে গেলেও তারা পিছিয়ে থাকবেল বলে মনে করেন দলটির তৃণমূল নেতারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের সেই দিনগুলো আজও ভোলেননি স্বজনহারা জনগণ। স্বাভাবিকভাবেই বিএনপির কোনো প্রার্থীকে তারা ভোট দেবেন না। এ কারণে নির্বাচনেআসতে ভয় পাচ্ছে বিএনপি।নির্বাচন এড়াতে দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত।
