তৃণমূলে চাপ: নীরব কেন খালেদা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩৯, শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩, ১৮ ফাল্গুন ১৪২৯

মাঠের বিরোধীদল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে অবস্থান করছেন। এরইমধ্যে সরকারের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, 'খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কোনো বাধা নেই।' তার এমন মন্তব্যে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে, নতুন করে আন্দোলনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। তবে খালেদা জিয়া এই বিষয়ে ‘রহস্যজনক নীরবতা’ পালন করছেন। ফলে দলের অভ্যন্তরে নতুন করে দানা বেঁধেছে সন্দেহ, জেগেছে শংকা।

 

সূত্র মতে, বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নীরবতার পেছনে কাজ করছে ‘সিদ্ধান্তহীনতা’। কারণ আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের দুদিন পরেই তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বিপরীত কথা। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার সুযোগ নেই। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও প্রায় একই বার্তা দিয়েছেন, যদিও তারা কেউই আইনমন্ত্রীর মতো সরাসরি আইনের কথা বলেননি। তথাপি সরকারের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের বিপরীতমুখী কথায় স্পষ্ট কোনো বার্তা না থাকায় সন্দিহান বেগম জিয়া ও তার দল বিএনপি।

এছাড়া লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল, কেউই খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার পক্ষে নয় কিছু কারণে।

প্রথমত: খালেদা জিয়াকে নিয়ে হঠাৎ সরকারের ইতিবাচক মনোভাবকে সন্দেহের চোখে দেখছেন তারা।

দ্বিতীয়ত: দলের অভ্যন্তরে তারেক-ফখরুল যে চেইন অব কমান্ড তৈরি করেছেন তা ভেঙে যাবে। তারেক-ফখরুলের আধিপত্য খর্ব হবে।

তৃতীয়ত: খালেদা জিয়া রাজনীতিতে ফিরলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে উদ্দীপনা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। ফলে চলমান নীরব কর্মসূচী ধ্বংসাত্মক রূপ নিলে তা দমনে সরকার নিপীড়ন চালাতে পারে, এমন ধারণাই দেয়া হয়েছে বেগম জিয়াকে।

চতুর্থত: বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। চলমান বিরতিহীন আন্দোলন কর্মসূচির সাথে তাল মিলিয়ে রাজপথে নামা বা জনসম্মুখে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয়াও তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

উল্লেখিত কারণ বিবেচনায় তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুলের পরামর্শে বেগম জিয়া নীরব থাকলেও বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাই বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে ফেরানোর পক্ষে মত দিয়েছেন, এমনকি তারা বেগম জিয়ার সাথে দেখা করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আগ্রহ উদ্দীপনার কথা জানিয়ে তাকে শুধু মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বা প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে হলেও রাজনীতিতে ফিরতে অনুরোধ করেছেন।

কিন্তু বিষয়টি জানতে পেরে তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হন এবং মহাসচিব ও  চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ যাতে বেগম জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ না করেন, এমন নির্দেশনা প্রদান করেন।

ফলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় যে আন্দোলনের স্বপ্ন দেখছেন তাতে ভাটা পড়েছে। তারেক ও ফখরুলের ‌‘না’ আর তৃণমূলের ‘হ্যা’তে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়েছেন খালেদা জিয়া। তবে বর্তমানে ছেলে ও মহাসচিবের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে আপাতত নীরব থাকার পথটিই বেছে নিয়েছেন বেগম জিয়া।

বিষয়ঃ বিএনপি

Share This Article


চট্রগ্রাম মেডিকেলের অজ্ঞাত লাশকে শিক্ষার্থীদের লাশ বলে চালানোর চেষ্টা!

শিক্ষার্থীদের পাশে দেশবাসীকে দাঁড়ানোর আহবান ফখরুলের: পাশে দাঁড়িয়েছে কি বিএনপি?

ঢাকা কলেজের ছাত্রের প্রাণহানি, সারা দেশে নিন্দার ঝড়

শিবির-ছাত্রদলের নির্মমতা: চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ১৫ ছাত্রলীগ কর্মীকে

আমরা সরকার পতন করেই ঘরে ফিরবো: গাজীপুর থেকে আগত শিবির কর্মী

কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ, শিক্ষকদের মারধর

প্রধানমন্ত্রী'র বক্তব্যের মর্মার্থ বিকৃত করলো কারা

দুইজন নিহতের অসত্য দাবি যুক্তরাষ্ট্রের, কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্বঘোষিত ‘রাজাকার,’ কেমন মেধাবী তারা?

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অর্থায়ন, সারা দেশে শিবিরের শক্ত নেটওয়ার্ক

ঢাবি ক্যাম্পাসে যেভাবে জড়ায় ছাত্রলীগ

'রাজাকার' পরিচয় দিতে একবারও লজ্জা হলো না তাদের